নয়াদিল্লি: প্রায় এক মাস হয়ে গেল আফগানিস্তান চলে গিয়েছে তালিবানের দখলে। সেই সঙ্গে শনিবার দুই দশক পূর্ণ হচ্ছে আমেরিকার ৯/১১ হামলার। এই সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে কড়া তালিবানের সমালোচনা করে তাদের সমর্থক রাষ্ট্রগুলিকে আক্রমণ করলেন ভারতের বিশিষ্ট গীতিকার জাভেদ আখতার।
শুক্রবার রাতের দিকে তিনি টুইট করে লিখেছেন, “প্রতিটি সভ্য মানুষ, বিশ্বের সভ্য সমাজের সকল গণতান্ত্রিক সরকারের উচিত তালিবানকে স্বীকৃতি দেওয়া থেকে বিরত থাকা। সেই সঙ্গে আফগান মহিলাদের উপরে তালিবানের অত্যাচারের নিন্দা করা উচিত।” যদিও তেমনটা ঘটছে না। তাই ক্ষুব্ধ হয়েছেন ভারতীয় গীতিকার।
জাভেদ আখতার আরও লিখেছেন, “তালিবান মুখপাত্র সমগ্র বিশ্বের উদ্দেশ্যে বলছেন যে মহিলাদের মন্ত্রী হওয়ার কোনও অধিকার নেই। মহিলাদের কাজ বাড়িতে থাকা এবং সন্তান উৎপাদন করা। তথাকথিত সভ্য সমাজ এবং অনেক গণতান্ত্রিক দেশ এই তালিবানের সঙ্গে হাত মেলাতে চাইছে। এর থেকে লজ্জার আর কিছু হয় না।”
রাস্তায় অস্ত্র হাতে তালিবান
দ্বিতীয়বার আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ফিরেছে তালিবান৷ কিন্তু মহিলাদের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এতটুকুও বদলায়নি৷ সদ্য গঠিত মন্ত্রিসভায় একজন মহিলাকেও জায়গা দেওয়া হয়নি৷ যা নিয়ে আফগানিস্তানে প্রতিবাদ জানিয়েছেন মহিলারা৷ দেশের বাইরেও সমালোচিত হচ্ছে তারা৷ যদিও তাতে তালিবানের কিছু যায় আসে না৷ বরং জঙ্গি সংগঠনের মুখপাত্র জানান, মহিলারা আবার মন্ত্রী? ওদের শুধু সন্তান জন্ম দেওয়া উচিত৷
আরও পড়ুন- প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্টের ভাইকে পঞ্জশিরে খুন করল তালিবরা
আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর তালিবান জানিয়েছিল, তারা শরিয়া আইন মেনে চলবে৷ মহিলাদের কাজ করতে দেবে৷ তাদের প্রতি কোনও বৈষম্য হবে না৷ কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে ঠিক উল্টোটা৷ তালিবানের কাজকর্মে পরিস্কার, আফগানিস্তানে মেয়েদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে৷ তাদের উপর চাপানো হয়েছে একাধিক ফতোয়া৷ পুরুষ সঙ্গী ছাড়া বাইরে বেরতে পারবে না৷ বাইরে বেরনোর সময় মাথা থেকে পা ঢেকে বেরতে হবে৷ কোথাও কাজ করতে পারবে না৷ স্কুল বা কলেজে ছেলে-মেয়েরা একসঙ্গে পড়াশোনা করতে পারবে না ইত্যাদি ইত্যাদি৷