ওয়েব ডেস্ক: সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্সে (CAP Force) সিনিয়র অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ গ্রেডে বা ইনস্পেক্টর জেনারেল পদে আইপিএস অফিসারদের (IPS Officers) ডেপুটেশনের ভিত্তিতে নিয়োগ ব্যবস্থা ধীরে ধীরে কমাতে হবে। সর্বোচ্চ দুই বছরের মধ্যে এই ব্যবস্থা কমিয়ে আনতে হবে, বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।
সুপ্রিম কোর্টের এমন বারণ সত্ত্বেও ক্রমান্বয়ে আইপিএস অফিসারদের ডেপুটেশনের ভিত্তিতে নিয়োগ করার প্রবণতা কমেনি বলে অভিযোগ। দেখা যাচ্ছে, ২০২৫ সালের ২৩ মে সুপ্রিম কোর্ট ওই রায় দেওয়ার পর কমান্ডান্ট থেকে ইনস্পেক্টর জেনারেল পদে অন্তত আট জন আইপিএস অফিসারকে মন্ত্রক নিয়োগ করেছে বলে জানা যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট মামলার মামলাকারীরা এই প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Home Ministry), ডিপার্টমেন্ট অফ পারসোনেল অ্যান্ড ট্রেনিং এবং সিএপিএফগুলির ডিরেক্টর জেনারেলদের লিখিতভাবে জানাচ্ছে, এমন নিয়োগ আদালত অবমাননার শামিল।
আরও পড়ুন: বিচার ব্যবস্থার প্রতি হুমকি অব্যাহত, অভিমত বিচারপতির
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে সিএপিএফগুলির গ্রুপ-এ অফিসাররা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। নন ফাংশনাল ফিনান্সিয়াল আপগ্রেডেশন, ক্যাডার রিভিউ, নিয়োগের রিস্ট্রাকচারিং এবং নিয়োগ বিধির সংশোধন প্রার্থনা করা হয় আদালতে। যাতে ডেপুটেশনের ভিত্তিতে আইপিএস নিয়োগ বন্ধ হয়। বরং এসএজি পদ পর্যন্ত ওই অফিসারদের পদোন্নতি কার্যকর হয়।
বর্তমানে সিএপি ফোর্সে ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল পদের ২০ শতাংশ এবং ইন্সপেক্টর জেনারেল পদের ৫০ শতাংশ আইপিএস অফিসারদের জন্য সংরক্ষিত। কিন্তু আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী যা ক্রমান্বয়ে কমার কথা। আর তাহলে প্রায় ১৩ হাজার সিএপিএফ অফিসার ওই রায়ের ফলে পদোন্নতির সহজ সুযোগ পেতে পারেন। উল্লেখ্য, সিএপিএফ এবং আইপিএসদের নিয়ন্ত্রণ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স, সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স, সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স, এবং সশস্ত্র সীমা বল ছাড়াও ইন্দো টিবেটান বর্ডার পুলিশ সিএপিএফ বলে চিহ্নিত হয়।
আইপিএস অফিসারদের জন্য প্রচুর পদ সংরক্ষিত রাখার ফলে সিএপিএফ অফিসারদের পদোন্নতি আটকে থাকে। এসিস্ট্যান্ট কমান্ডান্ট পদে যোগদানকারী অফিসারকে অন্তত ২৫ বছর কমান্ডান্ট হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। অথচ ১৩ বছরের মধ্যেই তিনি সিনিয়রিটি অর্জন করে থাকেন।
দেখুন অন্য খবর: