শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খানকে ঘিরে মাদক মামলার তদন্ত প্রক্রিয়ায় বিস্তর অনিয়মের হদিশ মিলেছে বলে নারকোটিক ব্যুরো সূত্র্রের খবর। এই তদন্তে অন্তত আটজন অফিসারের ভূমিকা এনসিবির আতশকাচের তলায়। সংস্থার একটি গোপন রিপোর্টে এ খবর উঠে এসেছে।
সেই গোপন রিপোর্টের প্রেক্ষিতে দ্বিতীয়বারের জন্য অস্বস্তিতে পড়তে চলেছে এনসিবি। তাদের স্বচ্ছতাই এখন প্রশ্নের মুখে। গত মে মাসে আরিয়ানকে সমস্ত অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তারও আটমাস আগে একটি প্রমোদ তরণীতে মাদক পার্টি করার অভিযোগে আরিয়ান এবং তাঁর কয়েকজন বন্ধুকে গ্রেফতার করে এনসিবি। প্রায় তিন সপ্তাহ সংশোধনাগারে কাটাতে হয় শাহরুখ-পুত্রকে। এনসিবি বলে, আরিয়ান এবং ধৃত অন্য পাঁচজনের বিরুদ্ধে তেমন কোনও সাক্ষ্যপ্রমাণ মেলেনি। সেই কারণেই তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়।
আরিয়ান মামলার তদন্তে এনসিবি অফিসারদের ভূমিকা কেমন ছিল, তা খতিয়ে দেখার জন্য এনসিবি একটি সিট গঠন করেছিল। সিট সেই ভিজিল্যান্স রিপোর্ট সম্প্রতি দিল্লিতে এনসিবির সদর দফতরে জমা দিয়েছে। তাতেই ওই আট অফিসারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে বলে মঙ্গলবার এক অফিসার জানান। ওই গোপন তদন্তেই ধরা পড়েছে, অফিসাররা বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে মাদক মামলার তদন্ত করেছেন। তদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৬৫ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছিল মূল তদন্ত চলাকালীন। তার মধ্যে অনেক সাক্ষীই তিন থেকে চারবার বয়ান বদল করেছেন। গোপন রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, এর আগেও অনেক মাদক মামলায় নানা অনিয়ম করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়। তদন্ত করতে গিয়ে ঘুষ চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: Weather Forecast: কালীপুজোর আগেই শুরু বৃষ্টি, পূর্বাভাস আবহাওয়াবিদদের
সাত থেকে আটজন তদন্তকারী অফিসারের ভূমিকায় সন্দেহ প্রকাশ করেছে সিট। তার জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও হয়। এনসিবির বাইরেরও কেউ কেউ তদন্তে নাক গলিয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সিনিয়র ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
গত বছরের অক্টোবর মাসে আরিয়ান-সহ কুড়িজনকে ওই প্রমোদ তরণী থেকে মাদক পার্টি করার জন্য গ্রেফতার করা হয়। নভেম্বর মাসে তদন্তকারী অফিসার সমীর ওয়াংখেড়েকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জয় কুমার সিংয়ের নেতৃত্বে সিট গঠন করা হয়। সমীর এবং তাঁর ইউনিটের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ প্রমাণ হয়।