চণ্ডীগড়: ধর্মীয় শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হরিয়ানা। অশান্তির আঁচ জ্বলছে নুহ (Nuh)জেলায়। অশান্তি শুরু হতেই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল অনেক আগেই। অশান্তির আঁচ যে আরও বেড়েছে, যার ফলে বুধবার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সময়সীমা আরও বাড়ানো হল। আগামী ৫ অগাস্ট পর্যন্তা হরিয়ানায় নুহ সহ আশপাশের এলাকায় ইন্টারনেট ও এসএমএস পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। নতুন করে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের জেরে যাতে কোনও শান্তি ও বিশৃঙ্খলা বিঘ্নিত না হয়, সে কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে হরিয়ানা সরকার।
শুধুমাত্র নুহ-তে নয়, ফরিদাবাদ, পালওয়াল এবং গুরুগ্রাম জেলার মহকুমা সোহনা, পতৌদি ও মানেসারেরও বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। মঙ্গলবার বিকেলে সেক্টর ৭০-র একটি আবাসনের পাশের কয়েকটি দোকান ও ঝুপড়িতে আগুন (Arson) লাগিয়ে দেওয়া হয়। যার পর রাজধানী দিল্লিতেও (Delhi) সতর্কতা জারি করেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত এই দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৭০ জন।
আরও পড়ুন: রাখীবন্ধনের মাধ্যমে সংখ্যালঘু সমাজের মহিলাদের পাশে থাকার বার্তা মোদির
হিংসার ঘটনায় হাসপাতাল, মুদি দোকান এবং মদের দোকানও ব্যাপক ভাঙচুরের শিকার হয়। এদিকে, এই সংঘর্ষ-অশান্তি নিয়ে ভুয়ো খবরও ছড়িয়ে পড়েছে। গতকালই ভুয়ো খবর রটে যে সমস্ত অফিস বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গুরুগ্রাম পুলিশের তরফে এই তথ্য ভুয়ো বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল রাজ্যবাসীকে শান্তি বজায়ের আর্জি জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত মোট ১১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রদীপ শর্মা, কো-অর্ডিনেটর, বজরং দল, বাদশাপুর, চিকিৎসার সময় দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে আহত হয়ে মারা যান। হরিয়ানা পুলিশের প্রায় ৩০টি কোম্পানি এবং ২০টি CAPF কোম্পানি রাজ্য জুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে।
হরিয়ানার বিভিন্ন অংশে সাম্প্রদায়িক হিংসার পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লি পুলিশ গত ২রা অগাস্ট হিংসার ঘটনায় এখনও অবধি ৪৪টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। কমপক্ষে ১১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সংঘর্ষের জেরে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। গুজব ছড়ানোর আশঙ্কায় বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। যান চলাচলেও কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি।