যোগাসনের সবচেয়ে ভালো বিষয় হল ছোট বড় যে কোনও বয়সের জন্যই উপকারী। মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে যোগাসনের উপকারিতা কতটা, তা আমরা প্রায় সকলেই জানি। শরীর রোগমুক্ত রাখতে চাইলে নিয়মিত যোগাসন করা প্রয়োজন। এছাড়া, যোগাসনের মাধ্যমে মনও নিয়ন্ত্রণ করা যায়। মানসিক সমস্যা, অবসন্নভাব কাটাতে যোগাসন খুবই কার্যকরি। এটি আমাদের এনার্জি বাড়াতে সাহায্য করে। যোগের মাধ্যমে রাগ, চঞ্চলতার মতো বেশ কিছু মানসিক অবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে উপলক্ষে চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন রোগ মোকাবিলায় কী কী যোগাসন করা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: International Yoga Day | কেন আর কবে থেকে পালন হয় আন্তর্জাতিক যোগ দিবস? জানুন ইতিহাস
১) থাইরয়েড থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে হলাসন এবং মৎস্যাসন করুন। হলাসন, ঘাড় সংকোচনে সাহায্য করে এবং থাইরয়েড গ্রন্থি উদ্দীপিত করে।
২) হাঁটুর ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে উত্থানপদাসন করতে পারেন। চেয়ারে বসে পা তোলা ও নামানো অর্থাৎ সিটেড লেগরাইজ বা পেলভিস ব্রিজ-ও করতে পারে। এতে থাইয়ের পেশি সঙ্কুচিত-প্রসারিত হয়।
৩) শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে শ্বাসকষ্টের সমস্যার মোকাবিলায় সিদ্ধাসন খুব উপকারি। এর জন্য, একদম সোজা হয়ে অর্থাৎ মেরুদণ্ড সোজা রেখে পা গুটিয়ে বসুন। তারপর ধীরে ধীরে শ্বাস গ্রহণ ও শ্বাসত্যাগ করতে হবে। এই যোগাসন করলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, পাশাপাশি ফুসফুসের কার্যক্ষমতাও বাড়ে।
৪) হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পবনমুক্তাসন করতে পারেন। এক্ষেত্রে, চিৎ হয়ে শুয়ে প্রথমে ডান পা ভাঁজ করে বুকের সঙ্গে লাগাতে হবে, তখন বাম পা সোজা থাকবে। তারপর একই ভাবে বাম পা ভাজ করতে হবে, তখন ডান পা সোজা থাকবে।
৫) মাইগ্রেনের সমস্যা মাইগ্রেন একটি ক্রনিক নিউরোলজিক্যাল ডিজিজ, যার কারণে ঘন ঘন মাঝারি থেকে গুরুতর মাথা ব্যথা হতে পারে। এর জন্য পদ্মাসন ও শীর্ষাসন খুব উপকারি। পদ্মাসন করলে মাইন্ড রিল্যাক্স করে এবং মাথা ব্যথা উপশম করে। আর শীর্ষাসন মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে। একে সমস্ত যোগাসনের রাজা বলা হয়।