ওয়েবডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁন্দুর’ (Operation Sindur) নিয়ে আজ সাংবাদিক বৈঠক থেকে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিল ভারতীয় সেনা (Indian Army)। সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারত যে কতটা কঠিন হতে পারে, তা বুঝিয়ে দিল সেনাবাহিনী। সেইসঙ্গে জঙ্গি দমনই যে মূল লক্ষ্য সাংবাদিক বৈঠক থেকে তিন বাহিনীর প্রধানরা তা স্পষ্ট করে দিলেন।
বৈঠক থেকে জানানো হয়, ‘অপারেশন সিঁন্দুর’, পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য ছিল সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করা। সন্ত্রাসী কার্যকলাপে যুক্ত অপরাধী ও পরিকল্পনাকারীদের উপযুক্ত জবাব দেওয়া। জঙ্গিঘাঁটিগুলিকে ধবংস করা হয়েছে। সেনার স্পষ্ট বার্তা সন্ত্রাসবাদ দমনে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে ভারত (India)।
সাংবাদিক বৈঠক থেকে বলা হয়, নিহতদের পরিবারের যন্ত্রণা অপরিসীম। যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। পহেলগামে ২৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে। অভিযুক্তদের শাস্তি দিতেই এই অপারেশন সিঁন্দুর। পাকিস্তান (Pakistan) ও পিওকে (POk) -তে জঙ্গি ঘাঁটি। ৯ টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। শুধুমাত্র জঙ্গি ঘাঁটিতেই হামলা করা হয়েছে। ধর্মীয়স্থান, সাধারণ মানুষের ওপর কোনও হামলা চালানো হয়নি।
আরও পড়ুন: পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতির লঙ্ঘন করলে ভারত চুপ করে থাকবে না, বার্তা ভারতের
ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই (DGMO Lieutenant General Rajiv Ghai) জানান, ৯ টি জঙ্গিঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে। ১০০’ র বেশি জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে আবু জিন্দাল, মহম্মদ জামিল, ইউসুফ আজহার, আবু আকশা এবং মোহাম্মদ হাসান খান। নিহতদের মধ্যে আইসি ৮১৪ অপহরণ এবং পুলওয়ামা হামলায় জড়িত জঙ্গিও রয়েছে। প্রতিটি জঙ্গি ঘাঁটিকে সঠিকভাবেই আঘাত করেছে ভারত। কোনও স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষতি করেনি ভারতীয় সেনা।
ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই জানান, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন করে বেশ কিছু জনবহুল গ্রাম এবং গুরুদ্বারে হামলা চালিয়েছে। বায়ুসেনার এয়ার মার্শাল একে ভারতী সাংবাদিক বৈঠকে বহাওয়ালপুরে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংসের দৃশ্য সামনে উপস্থাপন করেন।
পাশাপাশি মুরিদকের জঙ্গিঘাঁটিতে হামলা দৃশ্যও তুলে ধরা হয়। এয়ার মার্শাল ভারতী জানান, গত ৯-১০ মে রাতে ভারতীয় আকাশসীমা অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ড্রোন, মর্টার হামলা চালায় পাকিস্তান। বেশ কিছু সামরিক ঘাঁটিতেও আঘাত হানার চেষ্টা করেছিল। কিন্ত ভারতের প্রত্যাঘাতে তারা প্রতিহত হয়।
দেখুন ভিডিও-