দেশে রাজস্ব ও আর্থিক বিষয় সংক্রান্ত দিকগুলি দেখার যারা দায়িত্বে আছেন তাঁরা যেন অবশ্যই সতর্কতা বজায় রেখে আগামীদিনে পদক্ষেপ করেন। কারণ গোটা বিশ্বের ভয়াবহ মন্দার কালো মেঘের মধ্যেও দেশ হিসাবে ভারতই একমাত্র উজ্জ্বল ব্যতিক্রম। শনিবার নির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ করে এই সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে ভারতীয় অর্থ মন্ত্রকের সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের তরফে।
শনিবারই মাসিক অর্থনৈতিক পর্যালোচনার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে নির্মলা সীতারমণের দফতর। আজকের বিশ্বে ভৌগোলিক-রাজনীতির উপরেই যে অনেকটা নির্ভর করেছে বিভিন্ন দেশের আর্থিক পরিস্থিতি সে কথা মনে করিয়ে ওই সমীক্ষায় সরকারি বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভারতের পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি মে মাসে ১৬.৬ শতাংশের তুলনায় অনেকটাই কমে সেপ্টেম্বর মাসে হয়েছে ১০.৭ শতাংশ। কিন্তু খাদ্যপন্যের দাম চাহিদা অনুযায়ী না কমায় খুচরো মুদ্রাস্ফীতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। পর্যালোচনা রিপোর্টে জানানো হয়েছে সাধারণ পণ্যের ক্ষেত্রে দাম নিয়ন্ত্রণে বজায় রাখার খানিকটা সম্ভাবনা তৈরি হত যদি বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের মূল্য নিয়ে যাবতীয় অনিশ্চয়তা কাটিয়ে ফেলা যেত।
অবশ্য্ একইসঙ্গে সেই রিপোর্ট মেনে নেওয়া হয়েছে যে ডলারের (Dollar) তুলনায় টাকার দামের পতন হয়েছে। তবে, সেটা বিশ্বের অন্যান্য দেশের মুদ্রার তুলনায় কম। রিপোর্ট অনুযায়ী, গত এক মাসে ভারতীয় মুদ্রার দাম ডলারের তুলনায় কমেছে ৫.৪ শতাংশ। সেখানে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মুদ্রা বিশেষ করে ডলার বাদে বিশ্ব অর্থনীতিতে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য ছয়টি মুদ্রার দাম পড়েছে গড়ে প্রায় ৮.৯ শতাংশ। অর্থাৎ তুলনামূলকভাবে ভারতীয় মুদ্রা খানিকটা সুবিধাজনক অবস্থায় আছে বলে মনে করা হচ্ছে ওই পর্যালোচনা রিপোর্টে। তার আরও একটা বড় কারণ দেশে মজুত থাকা বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ।