ওয়েব ডেস্ক: অভিশপ্ত ২২ এপ্রিলের বদলা নিতে অতি-তৎপর হয়েছে ভারত। গোটা কাশ্মীর উপত্যকায় (Kashmir Valley) চলছে চিরুনি তল্লাশি, জঙ্গিদের হদিশ পেলেই করা হচ্ছে নিকেশ। তেমনই এক সেনা অভিযানে বান্দিপোরায় নিহত হল লস্কর-ই-তইবার (Lashkar-e-Taiba) উঁচু সারির কম্যান্ডার আলতাফ লালি (Altaf Lalli)। পহেলগাঁওয়ে ২৬ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী জঙ্গিদের খোঁজ এবং খতম করার অভিযান চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা, তাতে প্রথম সাফল্য এই আলতাফ।
শুক্রবার সকালে গোয়েন্দা সূত্রে খবর আসে, বান্দিপোরায় জঙ্গিদের গতিবিধি রয়েছে। ভারতীয় সেনা (Indian Army) এবং জম্মু-কাশ্মীর (J-K Police) পুলিশ যৌথ অভিযান। জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ হতেই শুরু হয় গুলির লড়াই। কিছুক্ষণ আগে সেনা সূত্রে খবর ছিল, জঙ্গিদের একজনকে ধাওয়া করছে নিরাপত্তা বাহিনী। ওই জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে কিছুটা জখম বলেও খবর। সেই গুলির লড়াইয়ে দুই পুলিশকর্মীও আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: কেন্দ্র, গুগল, অ্যাপল, মাইক্রোসফটকে হাইকোর্টের নোটিস!
এদিকে সেনার চিফ জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী (Upendra Diwedi) শ্রীনগরে গিয়ে পৌঁছেছেন, বান্দিপোরায় এখন কী পরিস্থিতি তা তাঁকে সংক্ষেপে বোঝানো হয়েছে। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় জড়িত হিসেবে সন্দেহভাজনদের ধরতে যে অভিযান চলছে তার অগ্রগতি এবং এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে বিশদে সমীক্ষা করবেন তিনি।
এদিকে পহেলগাঁওয়ের (Pahalgam) ঘটনায় জড়িত হিসেবে মনে করা দুই জঙ্গির বাড়ি ধূলিসাৎ করে দিল নিরাপত্তা বাহিনী এবং জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন। আদিল হুসেন নামে জঙ্গির আবাসস্থল আইইডি বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং আসিফ শেখ নামে আর এক জঙ্গির বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, ২২ এপ্রিলের হামলায় পাকিস্তানি জঙ্গিদের বড় সাহায্য করেছিল আদিল হুসেন।
দেখুন অন্য খবর: