ওয়েবডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁন্দুর’ (Operation Sindur) । বড়সড় বদলা নিল ভারত (India)। পহেলগাম (Pahalgam) কাণ্ডের পর থেকেই ক্ষোভের আগুনে জ্বলছিল ভারতবাসী। কথা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi), প্রত্যাঘাত হবেই। ন্যায়বিচার পাবেই দেশের মানুষ। সেই মতো মঙ্গলবার ভোররাতে এয়ারস্ট্রাইক করল ভারত। প্রায় দেড়টার কিছু পরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে এয়ার স্ট্রাইক আর ৯ সেনাঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিল ভারত।
প্রত্যাঘাতের পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Pm Narendra Modi) তাঁর ভাষণে বললেন, সন্ত্রাসবাদকে শেষ করতেই ভারতের ‘অপারেশন সিঁন্দুর’। সন্ত্রাসবাদকে কড়া হাতে দমনে প্রস্তুত ভারতের সশস্ত্রবাহিনী। পাকিস্তানে কোনও সেনা ছাউনিতে আক্রমণ হয়নি। জঙ্গিদের জবাব দিতেই ভারতের এই অভিযান, পাকিস্তানের কোনও সেনা ছাউনিতে হামলা চালানো হয়নি। জঙ্গিদের জবাব দিতেই ভারত নিজেদের অধিকার প্রয়োগ করেছে।
আরও পড়ুন: কীভাবে এয়ার স্ট্রাইক? জানুন সরাসরি
অপারেশন সিঁন্দুর অভিযানে, টানা ২৫ মিনিটের এই অপারেশনে ৯ টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত। এর মধ্যে চারটে ছিল পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে। এর মধ্যে ভাওয়ালপুর ছিল পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে। এটি ইন্দো-পাকিস্তান সীমান্ত থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে।
অপারেশন কার্যকর করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালকে (National Security Advisor Ajit Doval) । কবে, কখন, কী ভাবে হামলা হবে তা পুরোটাই প্রধানমন্ত্রীকে জানান অজিত দোভাল। অপারেশন সিঁন্দুরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল NTRO-কে (National Technical Research Organisation)। অপারেশনের যাবতীয় খুঁটনাঁটি বিষয় প্রধানমন্ত্রীকে বুঝিয়ে দেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। তার পরেই গ্রিন সিগন্যাল দেন প্রধানমন্ত্রী। অপারেশন সিঁন্দুরের মাহেন্দ্রক্ষণ ছিল মঙ্গলবার রাত ১২টা ৩৭ মিনিট। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই একের পর এক মিসাইল হামলায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় জঙ্গিদের ঘাঁটি। মঙ্গলবার রাত ১২টা ৩৭ মিনিটে শুরু হয় অপারেশন শুরু হয়। নিজের কন্ট্রোল রুমে অতি বিশ্বস্ত ও চূড়ান্ত পেশাদার টিম পুরো অপারেশন সামলেছেন দোভাল।
এই অভিযানের আবহেই, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিন দেশের সফর বাতিল করে দেন। মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে ক্রোয়েশিয়া, নরওয়ে ও নেদারল্যান্ড সফরে যাওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। ভারতের এই প্রত্যাঘাতের পরই তিনি সেই সভর বাতিল করেন।
দেখুন ভিডিও-