নয়াদিল্লি: ‘অপারেশন সিঁদুরে’ (Operation Sindoor) তে নিহত জঙ্গিদের কফিনে পাকিস্তানি (Pakistan) জাতীয় পতাকা জড়ানো। তাঁদের ‘রাষ্ট্রীয় মর্যাদা’য় শেষকৃত্য হয়েছে। বৃহস্পতিবার আরও এক বার পাকিস্তানের জঙ্গিযোগের কথা প্রকাশ্যে তুলে ধরলেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রী (Indias Foreign Secretary Vikram Misri)। মিস্রী কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘পাকিস্তানে জঙ্গিদের শেষকৃত্য হয়ত এ ভাবেই হয়!’’ বিশ্বের বেশির ভাগ জায়গায় সন্ত্রাসবাদী হামলায় পাক-যোগের কথা স্মরণ করিয়ে বিক্রম আমেরিকাকে মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, লাদেনকে একদা আশ্রয় দিয়েছিল এই পাকিস্তানই।
পহেলগাম হামলার ১৭ দিনের মাথায় ৭ মে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়ে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে ভারতীয় সেনা। হামলার পর পাকিস্তান দাবি করেছে, ওই হানায় তাদের দেশের সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন। সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন ভারতীয় বিদেশ সচিব। ‘অপারেশন সিঁদুর’এ নিহত জঙ্গির অন্ত্যেষ্টীতে হাজির হয়েছিলেন পাকিস্তানের বহু সেনা সদস্য। ঘটনা নিয়ে বৃহস্পতিবার দিল্লির বুকে ফের একবার সন্ত্রাস ইস্যুতে পাকিস্তানের মুখোশ খুললেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, বেছে বেছে পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সেনা। প্রতিবেশী দেশের সেনাঘাঁটিকে কোনও ভাবেই লক্ষ্য করা হয়নি। এর পরেই তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, যদি সাধারণ নাগরিক নিহত হতেন, তা হলে কি তাঁদের কফিনে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা জড়িয়ে এ ভাবে শেষকৃত্য করা হত? বিদেশ সচিব বলেন, বুধবার জঙ্গিদের শেষকৃত্য হয়েছে। স্যোশাল মিডিয়ায় আপনারা সেই ছবি দেখেছেন। যদি সাধারণ নাগরিক নিহত হতেন, তা হলে কী এই ছবি দেখা যেত? জঙ্গিদের দেহ পাকিস্তানি পতাকায় মুড়ে নেওয়া হয়েছে। য়তো জঙ্গিদের শেষকৃত্য এ ভাবেই হয় পাকিস্তানে।
আরও পড়ুন: ‘Operation Sindur’ সাংবাদিক বৈঠকে যা জানালেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি
‘অপারেশন সিঁদুরে কত জঙ্গিকে মারা হয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তরে বিদেশ সচিব বলেন, এই বিষয়ে কোনও তথ্য এখনও পর্যন্ত নেই। অপারেশনের পর মাত্র ৩৬ ঘণ্টা পেরিয়ছে। ধৈর্য ধরুন। আরও তথ্য সামনে আসবে। বিদেশ সচিব জানিয়েছেন, পাকিস্তানই সবটা শুরু করেছে। আমরা তার জবাব দিচ্ছি। যদি পাকিস্তান আরও কিছু করতে চায়, তাহলে যথাযথ জবাব দেওয়া হবে। আত্মরক্ষার স্বার্থে ভারতের এই হামলা করার অধিকার আছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কথা বলেছেন একাধিক রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে। তিনি বলেন, “পহেলগাঁওয়ের ঘটনা যে নৃশংস,আত্মরক্ষার স্বার্থে আমাদের যে প্রত্যাঘাত করার অধিকার আছে, সেটাই মেনে নেওয়া হচ্ছে।”
অন্য খবর দেখুন