ওয়েবডেস্ক: কাশ্মীরে (Kashmir) নির্বিচারে হত্যালীলার ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। ভারতের পাশে রয়েছে বিশ্বের একাধিক দেশ। আজ বিহার (Bihar) থেকে একের পর এক আক্রমণ করে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Nanredra Modi)। আতঙ্কবাদকে ভারত যে প্রশ্রয় দেবে না সেটা আজ ভারত সরকার স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে। ভারতের এই কড়া পদক্ষেপে প্রত্যাঘাতের ভয় কাঁপছে পাকিস্তান। যথারীতি এই প্রতিরোধ আটকাতে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে পাক প্রশাসন। লাহোর, করাচিতে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট।
তাহলে কি যেকোনও মুহূর্তেই এয়ার স্ট্রাইক হতে পারে! এমনই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে।
পাকিস্তানকে এবার মোক্ষম জবাব দিতে তৈরি ভারত। খুব তৎপরতার সঙ্গে গোচ্ছে মোদি সরকার। আজ বৃহস্পতিবার আমেরিকা (America), ব্রিটেন (Britan), ইউরোপীয় ইউনিয়নের (European Union), রাশিয়া বিভিন্ন কূটনীতিকদের নিয়ে বৈঠকে বসে বিদেশ মন্ত্রক। সেখানে উপস্থিত থাকলেন চিনের কূটনীতিকও (China diplomat) । এমনকি বিদেশ মন্ত্রকের আমন্ত্রণে ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কানাডার প্রতিনিধিও। প্রায় ২০টি দেশের প্রতিনিধি এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আজ সর্বদলীয় বৈঠক কী কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে? দেখুন বড় আপডেট
মঙ্গলবার কাশ্মীরে পহেলগাঁওয়ের বৈসারণে পর্যটকদের উপরে জঙ্গিরা যে নির্মম অত্যাচার চালিয়েছে সেই বিষয়য়ি কূটনীতিকদের সামনে তুলে ধরেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রী। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত যে সবসময় ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে এগিয়ে চলছে, সেকথাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয় এই বৈঠকে।
বুধবারের পর থেকে আজ পর্যন্ত বৈঠকের পর বৈঠক। স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে ১৯৬০ সালের সিন্ধু জলচুক্তি। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আটারি সীমান্তে ভারতের ‘ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট’ বন্ধও করে দেওয়া হয়েছে। বৈধ নথিতে এদেশে যারা আছেন তাদের ১ মে’র মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানিদের জন্য বাতিল ‘সার্ক ভিসা’। নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানের দূতাবাসে থাকা প্রতিরক্ষা আধিকারিকদের ‘অবাঞ্ছিত’ বলে ঘোষণা করেছে ভারত। এক সপ্তাহের মধ্যে ভারত ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ।
দেখুন অন্য খবর-