ওয়েবডেস্ক: সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার (Freedom of Press) তালিকায় ১৮০টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১৫১তম। ভারতের নীচে পাকিস্তান, চীন, রাশিয়া, আফগানিস্তান, ভুটান, তুরস্কের মতো দেশ রয়েছে। ভারত সহ বিভিন্ন দেশে সংবাদমাধ্যমের মালিকানায় রাজনৈতিক আধিপত্যবাদ সংবাদমাধ্যমের বহুত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে। শনিবার ছিল ওয়র্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে। রিপোর্টারস উইদাউট বর্ডার্স শুক্রবার বার্ষিক ব়্যাঙ্কিং রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। ফ্রান্সের এই সংস্থা ১৮০টি দেশের সংবাদমাধ্যমের উপর করা সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করে।
সারা বিশ্বেই সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার মান তলানিতে নামছে। সেই সমীক্ষাতে দেখা গিয়েছে, বিশ্জুড়েই এর অবনতি ঘটেছে। বিশ্বের অর্ধেক মানুষ বসবাস করেন সেইসব ৪২টি দেশে খুব খারাপ অবস্থা। গুগল, অ্যাপল, অ্যামাজন, ফেসবুক, মাইক্রোসফটের মতো প্রযুক্তির জায়ান্টদের দৌলতে অবস্থা খারাপ হয়েছে সংবাদমাধ্যমের। বিশেষ করে তথ্য সরবরাহ ব্যবস্থার জন্য সংবাদমাধ্যমের চেয়ে এগুলোর উপর নির্ভরশীলতা বেড়েছে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হিংসার ঘটনার ভিত্তিতে এই সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। রাজনীতি, আইন, অর্থনীতি, সমাজ-সংস্কৃতি, নিরাপত্তা এই বিষয়গুলির উপর ভিত্তি করে সমীক্ষা করা হয়েছে। খারাপ অবস্থা আমেরিকাতে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে ক্রমশ অবনতি হয়েছে। গাজায় ২০০ সাংবাদিককে খুন করেছে ইজরায়েলের সেনা। ভেঙেছে একের পর এক সংবাদমাধ্যমের অফিস। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় দফায় স্বাধীন সংবাদ মাধ্যমের অবস্থা খারাপ হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় ভয়ঙ্কর অবনতি ঘটেছে। ভয়েস অফ আমেরিকার মতো আমেরিকার সরকারি সংবাদমাধ্যমেও খাঁড়া নেমে এসেছে। বিভিন্ন দেশে ইউএস এইড বন্ধ করা হয়েছে। পাবলিক নিউজ আউটলেট এনপিআর, পিবিএসে তহবিল কাটছাঁট হয়েছে। ইতিমধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই সংক্রান্ত এগজিকিউটিভ অর্ডারে সই করেছেন। এমনকী নিউইয়র্ক টাইমসের মতো প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সংস্কৃত বিজ্ঞানসম্মত ভাষা, “AI ভাষা’ হিসেবেও কাজ করতে পারে: রেখা গুপ্তা
রিপোর্টে জানানো হয়েছে, নরওয়ে-তে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সব থেকে বেশি। মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকাতে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সব থেকে খারাপ অবস্থায়।
দেখুন অন্য খবর: