ওয়েব ডেস্ক: সোমবার রাত ৮টায় জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) ভাষণের আগেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) বড় মুখ করে বলেছিলেন, তাঁর মধ্যস্থতায় ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ-পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে। সোমবার এ নিয়ে কোনও কথাই বলেননি মোদি। তবে আজ, মঙ্গলবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (MEA) ট্রাম্পের এই দাবি সোজাসুজি খারিজ করে দিল।
ট্রাম্প এও বলেছিলেন, ভারত ও পাকিস্তান (Pakistan) যদি শান্তির পথে না ফেরে তবে দুই দেশের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্য-সম্পর্কে অবনতি ঘটবে। সেই কারণেই দুই পড়শি দেশ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়, এদিন সেই দাবিও নস্যাৎ করে দিল বিদেশ মন্ত্রক। তারা জানিয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনার সময় আমেরিকা (USA) ও ভারতের (India) শীর্ষ নেতৃত্ব পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিল, কিন্তু বাণিজ্য নিয়ে কোনও কথাই হয়নি।
আরও পড়ুন: ট্রাম্প-কাঁটা কীভাবে কাটাবে? পথ খুঁজছে বিজেপি
এক বিবৃতিতে বিদেশ মন্ত্রক জানিয়ে দিল, “৭ মে অপারেশন সিঁদুর শুরু হওয়া থেকে ১০ মে গুলি চালানো ও সামরিক কর্মকাণ্ড বন্ধ হওয়া পর্যন্ত সামরিক পরিস্থিতি নিয়ে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বার্তালাপ হয়েছে। কিন্তু সেই আলোচনায় বাণিজ্যের বিষয় কখনওই উঠে আসেনি।” বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ভারত-পাকিস্তানের সমঝোতার বিষয়টি ঘটেছে দুই দেশের ডিজিএমও-র মধ্যে ফোনালাপে যা শুরু হয়েছিল ১০ মে বিকেল ৩.৫৫-এ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কার্যত শান্তিচুক্তির কৃতিত্ব একাই নিতে চেয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর মোদির ভাষণেও এ নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা ছিল না। কংগ্ৰেস সহ সব বিরোধী দল যুদ্ধের সময় সরকারের পাশে থেকেছে। যুদ্ধ শেষের পর এবার সব বিরোধী দল প্রশ্ন তুলছে, কেন ট্রাম্পের কথায় যুদ্ধ থামানো হল? তাঁরা দাবি করছেন, সংসদে বিশেষ অধিবেশন (Parliament Session) ডাকতে হবে। প্রশ্ন উঠছে, এই যুদ্ধ থেকে দেশ কী পেল?
দেখুন অন্য খবর: