কলকাতা টিভি ওয়েবডেস্ক: মাত্র দেড় মাসের লড়াইতে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করল তালিবান। গতকাল অর্থাৎ রবিবার কার্যত বিনা লড়াইতে কাবুলে প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে পা রাখে তালেবান নেতারা। আফগানিস্তানের শাসন ব্যবস্থা পুরোপুরি তালেবানের হাতে হস্তগত হওয়ার পর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মহল। এবার দক্ষিণ এশিয়ায় আফগানিস্তানের অন্যতম বড় প্রতিবেশী হিসেবে স্পষ্ট ভাষায় উদ্বেগ প্রকাশ করল ভারত।
সোমবার রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিরু মূর্তি স্পষ্ট জানালেন আফগানিস্তানের নারী এবং শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি। অগাস্ট মাসে নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছে ভারত। সভাপতিত্ব পেয়ে সামুদ্রিক নিরাপত্তার পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ রোধে কর্মসূচি গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের প্রতিনিধিত্ব তিরুমূর্তি।
আরও পড়ুন: আফগান নাগরিকদের স্বার্থরক্ষায় তালিবানকে ‘মানবিক’ হওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রসঙ্ঘের
উল্লেখ্য, ভারত প্রথম থেকেই আফগানিস্তানে তালিবানি অধিগ্রহণের বিরোধিতা করে এসেছে। মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর চীন রাশিয়া তালেবানকে একপ্রকার স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বললেও নয়াদিল্লি সেই পদক্ষেপে একেবারেই রাজি ছিল না। যদিও রাশিয়া তথা অন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় বিদেশের মাটিতে একাধিকবার তালেবানদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। যদিও স্পষ্ট ভাষায় তা কখনই স্বীকার করেনি নয়াদিল্লি। তাই আশরাফ ঘানি সরকারকে কাবুলের ক্ষমতায় দেখতে চেয়েছিল নয়াদিল্লি । এমনটাই মনে করে আন্তর্জাতিক মহল। কিন্তু গতকালের পর পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে যাওয়া এবার নয়াদিল্লির কপালে চিন্তার ভাঁজ কিছুটা প্রসারিত হলো বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
আরও পড়ুন: কাবুলে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনতে বায়ু সেনার বিমান
সোমবার কাবুলে আটকে থাকা ভারতীয়দের ফেরাতে তৎপর হয় নয়াদিল্লি। নতুন করে সোমবার সন্ধ্যেয় বায়ু সেনার বিশেষ বিমান পাঠানো হয়েছে কাবুলে৷ জানা গিয়েছে, এখনও কাবুলে আটকে রয়েছেন ২০০-র বেশি ভারতীয়। এর মধ্যে মধ্যে বিদেশ মন্ত্রকের কর্মীরা ছাড়াও আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানরাও রয়েছেন।
ভারত ছাড়াও আফগান পরিস্থিতি নিয়ে সামগ্রীকভাবে এদিন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করল রাষ্ট্রসংঘ। সোমবার আফগানিস্তানের প্রতিটি রাজনৈতিক দল এবং বিশেষ করে তালিবানকে জনগণের স্বার্থ রক্ষা ও মানবাধিকার রক্ষায় ‘সর্বোচ্চ সংযম’ দেখানো অর্থাৎ আরও মানবিক হওয়ার আহ্বান জানালেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।