নেপাল: সরকার দুর্নীতি রুখতে ব্যর্থ, উল্টে সাধারণ মানুষের মুখ বন্ধ করতে সমাজমাধ্যমের (Social Media) উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করছে। এই অভিযোগে সোমবার থেকেই উত্তপ্ত নেপাল (Nepal) । রাস্তায় নামেন হাজার হাজার তরুণ- তরুণী (Nepal’s Gen Z Protest)। কিন্তু সেই প্রতিবাদ– বিক্ষোভ চোখের নিমেষে বড় সংঘর্ষের আকার নেয়। চলে গুলি, ছোঁড়া হয় কাঁদানে গ্যাস। জারি করা হয় অনির্দিষ্টকালের জন্য কার্ফু। মঙ্গলবার সকালেও সেই ছবির বদল হয়নি। এই পরিস্থিতিতে সেনা প্রধানের নির্দেশের পরই পদত্যাগ করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলি শর্মা। প্রতিমুহুর্তে পরিস্থিতি বদল হচ্ছে। জনরোষে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে মুহুর্মুহু হামলা। পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতেও চলে হামলা। ধরিয়ে দেওয়া হয় আগুন। সেখানকার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ঝালানাথ খানালের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় তাঁর স্ত্রীর। ইতিমধ্যে হেলিকপ্টারে চড়ে দেশ ছেড়েছেন ওলি। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে একের পর এক সরকারি অফিস (Government office) । এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই প্রতিবেশী দেশের অস্থিরতায় উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি (New Delhi) । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) বার্তাতেও সেই উদ্বেগ ঝরে পড়ল।
নেপাল সরকারের বিরুদ্ধে ‘জেন জি’দের বিক্ষোভে কার্যত ধ্বংসলীলা শুরু হয়েছে প্রতিবেশী দেশে। নেপালের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত। নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টও করেছেন মোদী (Narendra Modi on Nepal Clash)। প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘নেপালে ঘটে যাওয়া সহিংসতা হৃদয়বিদারক। অনেক তরুণ প্রাণ হারিয়েছে, যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। নেপালের স্থিতিশীলতা, শান্তি ও সমৃদ্ধি আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘আমি নেপালের সমস্ত ভাই ও বোনদের প্রতি বিনীতভাবে আহ্বান জানাই, শান্তি বজায় রাখুন এবং একসঙ্গে দেশের ভবিষ্যৎ গঠনে সহায়তা করুন।’
আরও পড়ুন: নেপালের পরিস্থিতি নিয়ে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
প্রতিবেশী দেশের অস্থিরতা নিয়ে মোদি বললেন, ‘নেপালের স্থিতিশীলতা, উন্নতি এবং শান্তিরক্ষা ভারতের প্রাথমিক গুরুত্ব’ । যেভাবে একগুচ্ছ তরুণ প্রাণ চলে গিয়েছে তাতে শোকপ্রকাশও করেছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi) । তবে নয়াদিল্লি শান্তি এবং স্থিতিশীলতার পক্ষে হলেও ভারত যে নেপাল ইস্যুতে আগ বাড়িতে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে না, সেটা স্পষ্ট প্রধানমন্ত্রীর বার্তাতেই স্পষ্ট।
দেখুন খবর: