নয়াদিল্লি : বিজেপি সরকার বা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যতই দেশ এগিয়ে চলছে বলে দাবি করুক না কেন, বাস্তব ছবিটা যে অনেকটাই আলাদা, তা আবারও প্রমাণিত হল । ক্ষুধা সূচক মানে দেশের কত শতাংশ মানুষ দিনে ঠিক মতো ন্যূনতম খাবারটুকু পান, তার নিরিখে ক্রমেই পিছিয়ে যাচ্ছে ভারত । এমনকি, পাশের বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের মতো দেশও ভারতের থেকে কয়েক কদম এগিয়ে । শুক্রবার বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের যে তালিকা সামনে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে গত বারের থেকে ভারত সাত ধাপ পিছিয়ে গিয়েছে । বিশ্বের ১১৬টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১০১। গত বছর ভারত ছিল এই তালিকার ৯৪ নম্বরে । ২০১৯ সালে ভারতের স্থান ছিল ১০২ নম্বরে ।
আরও পড়ুন: ধর্মগ্রন্থের অপমান করলে এভাবেই হাত-পা কেটে শাস্তি, যুবক খুনের সাফাই নিহাঙ্গদের
আয়ারল্যান্ডের অসরকারি সংস্থা ‘কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড’ এবং জার্মান সংস্থা ‘ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফ’ যৌথভাবে বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে ক্ষুধার পরিমাণ নির্ধারণ করে । অপুষ্টি, শিশুমৃত্যু, পাঁচ বছরের চেয়ে কমবয়সি শিশুর উচ্চতার তুলনায় কম ওজনের মতো কয়েকটি মাপকাঠিতে বিভিন্ন দেশকে বিচার করে বিশ্ব ক্ষুধা সূচক । যে কোনও দেশের সমসাময়িক অর্থনৈতিক অবস্থান, শিশু স্বাস্থ্য এবং সম্পদ বণ্টনের ক্ষেত্রে অসাম্যের মতো বিষয়গুলিও বিচারের মাপকাঠিতে রাখা হয় । এ বছর সেই মাপকাঠি অনুসারে ভারতের স্থান ১০১ । যেখানে মায়ানমার রয়েছে ৭১-এ, নেপাল ও বাংলাদেশ যৌথ ভাবে রয়েছে ৭৬ নম্বর স্থানে । পাকিস্তান বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের নবতম তালিকায় স্থান পেয়েছে ৯২ নম্বরে । আর ভারতের থেকে পিছিয়ে রয়েছে পাপুয়া নিউগিনি, আফগানিস্তান,
নাইজেরিয়া, কঙ্গো, সোমালিয়ার মতো ১৫টি দেশ ।
আরও পড়ুন: প্রয়াত দৈনিক জাগরণের চেয়ারম্যান যোগেন্দ্রমোহন, শোকপ্রকাশ রাহুলের
করোনার জেরে এমনিতেই দেশের অর্থনীতির হাল তলানিতে ঠেকেছে । চাকরি হারিয়েছেন বহু মানুষ । করোনা-লকডাউনের বিধিনিষেধ জারির ফলে ভারতের নাগরিকদের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে । অপুষ্টি জনিত কারণে শিশুদের ভোগার পরিমাণও বেশি ভারতে । ১৯৯১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তানে শিশুদের মধ্যে অপুষ্টিজনিত রোগের অন্যতম কারণ হল পরিবারে আর্থিক অনটন, খাবারের মান খারাপ, প্রসূতির পুষ্টির অভাবের মতো বিষয় ।