ওয়েব ডেস্ক: পহেলগাম জঙ্গি হামলার (Pahalgam Terror Attack) প্রত্যাঘাত স্বরূপ পাকিস্তানের (Pakistan) ন’টি জঙ্গিঘাঁটিকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতের ফৌজ। পাকিস্তানের উপর চালানো সামরিক অভিযান ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) এবার স্থান পেতে পারে স্কুলের পাঠ্যবইয়ে (School Textbooks)। সম্প্রতি এই বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন খোদ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী (Union Education Minister) ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan)। একটি আলোচনাসভায় তিনি বলেন, দেশের ইতিহাসে থাকা অবহেলিত বীরদের কাহিনি ছাত্রছাত্রীদের জানানো অত্যন্ত জরুরি। সেই প্রেক্ষিতেই ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মতো অভিযানকে স্কুলপাঠ্যে অন্তর্ভুক্ত করার কথা ভাবা হচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, “আমরা ইতিহাস মুছে ফেলি না। বহু বীর শহিদের নাম দেশবাসী জানেই না। যেমন— জোরাওয়ার, ফতেহ সিং কিংবা অন্ধ্রপ্রদেশের আলুরি সীতারাম রাজু। এইসব মহান বীরদের অবদান তুলে ধরতে চায় সরকার। ইতিহাসকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করাই আমাদের দায়িত্ব।”
আরও পড়ুন: কোণঠাসা হবে পাকিস্তান! ‘সুদর্শন চক্র’র সমতুল্য অস্ত্র বানাচ্ছে ভারত
ধর্মেন্দ্র প্রধান সরাসরি না বললেও তাঁর মন্তব্য থেকে স্পষ্ট, ‘অপারেশন সিঁদুর’ জাতীয় স্তরের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ইতিমধ্যেই রাজস্থানে স্কুল ও কলেজ পাঠ্যক্রমে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সূত্রের খবর, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, দিল্লির মতো রাজ্যেও এই পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। এমনকি এনসিইআরটি-র (NCERT) অধীনেও সামার ক্যাম্প আয়োজনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে, যেখানে ‘অপারেশন সিঁদুর’কে ঘিরে নানা কার্যকলাপে অংশ নেবে পড়ুয়ারা।
শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, “যে সমস্ত বিষয় দেশের ক্ষমতা ও গর্ব বাড়াতে সাহায্য করে, সেগুলিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এনসিইআরটি এমন বিষয়কেই বরাবর অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছে।” সব মিলিয়ে এটাই বোঝা যাচ্ছে যে, ইতিহাস চর্চার দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে চাইছে কেন্দ্র। সরকার দেশাত্মবোধকে জোর দিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে এমন অধ্যায় তুলে ধরতে চায় যেগুলি এতদিন পাঠ্যক্রমে জায়গা পায়নি। ‘অপারেশন সিঁদুর’ তারই প্রথম ধাপ হতে পারে।
দেখুন আরও খবর: