পটনা: লাগাতার বোমা বিস্ফোরণ এবং নির্বিচারে গুলি চালিয়ে পাঁচ লাখ টাকা লুঠ করে পালাল ডাকাত দল৷ বিহারের সিওয়ানে সোনার দোকানে দিনে-দুপুরে ডাকাতি কাণ্ডে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷ ডাকাতির পর পালিয়ে যাওয়া দুষ্কৃতীদের স্থানীয় যুবকরা ধাওয়া করে৷ পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যায় ডাকাত দল। কিন্তু যুবকরাও সাহস দেখিয়ে অনেক দূর তাদের অনুসরণ করে। ঘটনাটি সিওয়ানের দারুন্ডা এলাকার চাঁচাউড়া বাজারের। ডাকাতরা আতঙ্ক ছড়ানোর উদ্দেশ্যে এক ডজনেরও বেশি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সিওয়ানের দিব্বি বাজারে মা লক্ষ্মী জুয়েলার্স নামে একটি দোকান রয়েছে। শনিবার ওই দোকানে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। দুটি বাইকে ৬ জন ডাকাত মা লক্ষ্মী জুয়েলার্সে পৌঁছয়। তিনজন বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে আর তিনজন অপরাধী দোকানের ভিতরে ঢুকে পড়ে। দোকানদার সুশীল কুমার সাহাকে অস্ত্র দেখায় দুষ্কৃতীরা। ওই সময় পাঁচ-ছয়জন মহিলাও কেনাকাটার জন্য দোকানে উপস্থিত ছিলেন।
সুশীল জানান, প্রতিবাদ করলে তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং দোকানে থাকা প্রায় পাঁচ লাখ টাকার গহনা ছিনিয়ে নেয়। সেখানে প্রায় ২০ মিনিট ডাকাতরা উপস্থিত ছিল।
ডাকাতির খবর পেয়ে লোকজন জড়ো হতে থাকে। তাই বাইরে উপস্থিত অপরাধীরা বোমাবাজি শুরু করে। এসময় দুষ্কৃতীরা দোকান থেকে গহনা লুঠ করে বাইকে করে পালিয়ে যেতে থাকে। পালিয়ে আসা অপরাধীদের স্থানীয় যুবকরা চ্যালেঞ্জ করে তাড়িয়ে দেয়। ধাওয়া করলে ডাকাতরা গুলি ছুড়তে থাকে। গুলিবর্ষণের মধ্যেও সাহসী যুবকরা হাল ছাড়েননি। ডাকাতদের দিকে ঢিল ছুড়তে থাকে৷ যদিও ডাকাতরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
আরও পড়ুন-কেন হেলমেট ছাড়া বাইকে ‘প্রাক্তনী’ মদন, প্রশ্ন তুললেন বর্তমান পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ
ডাকাতরা সিওয়ান এলাকা ছেড়ে যাওয়ার পর সীমান্ত লাগোয়া সরানের চাঁনচৌড়া বাজারের এক দোকানেও হামলা চালায়। চাঁনচৌড়ায় এক অপরাধীকে ধরে ফেলে স্থানীয়রা। অপরাধী পিস্তলের বাট দিয়ে দুই যুবকের মাথায় আঘাত করে। এতে দুই যুবক আহত হন। এসময় তার অন্য সঙ্গীরা তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। অপরাধীরা সাহদৌলির দিকে পালিয়ে যায়। পুলিস ঘটনা তদন্ত করছে।