চণ্ডীগড়: নতুন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে উত্তাল হরিয়ানা। বিক্ষোভে পথে নেমেছেন হাজার হাজার কৃষক। বিরোধী দলগুলো তাঁদের মদত দিচ্ছে বলে কটাক্ষ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভানু প্রতাপ ভার্মা। তাঁর দাবি, কৃষকদের উচিত কৃষি আইনের ত্রুটিগুলো তুলে ধরা। যাতে সরকার সেগুলো সংশোধন করতে পারে। তা না করে তাঁরা শুধু বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। এতে কৃষকদেরই উন্নতি হবে বলে মত ভানু প্রতাপ ভার্মার।
হরিয়ানায় সরকারে রয়েছে বিজেপি। নতুন কৃষি আইন আসার পর থেকেই দিল্লি, হরিয়ানা, পঞ্জাবে বিক্ষোভে দেখাচ্ছেন কৃষকেরা। দিল্লি–হরিয়ানা সীমান্তে প্রায় ১০ মাস ধরে পথে নেমেছেন কৃষকেরা। বারবার বৈঠক করেও কোনও লাভ হয়নি। মঙ্গলবারও হরিয়ানা সরকারের সঙ্গে কৃষকদের আলোচনা ব্যর্থ হয়। কোনও সমাধান সূত্রে না মেলায় বিক্ষোভকারীরা হরিয়ানার কারনালে সচিবালয়ের দিকে এগোতে শুরু করেন।
ভানু প্রতাপ ভার্মা
আরও পড়ুন:মুম্বইয়ে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা, ঘরে বসেই গণেশ চতুর্থী পালনের আর্জি মেয়রের
পুলিশের ব্যারিকেড, জল কামানে কোনও লাভ হয়নি। সেসব ভেঙেই এগোতে থাকে বিক্ষোভকারীরা। মঙ্গলবার রাতেই অবরুদ্ধ হয়ে যায়, কারনালের প্রধান সচিবালয়ের দরজা। বিক্ষুব্ধ কৃষকেরা রাস্তা আটকে বসে যান অবস্থান বিক্ষোভে। তাঁদের দাবি না মানা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ চলতে থাকবে বলে জানিয়েছেন কৃষক নেতারা। শুধু কৃষি বিলই নয়, তাঁদের বিক্ষোভে গত ২৮ শে অগস্ট লাঠি চালায় পুলিশ। এই কাজে যারা জড়িত তাঁদের শাস্তির দাবি নিয়েও সচিবালয়ের সামনে জড়ো হন তাঁরা। তাঁদের ঠেকাতে ওই এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা।
ভানু প্রতাপ ভার্মার দাবি, নতুন কৃষি বিলের ধারা ভালো করে পড়েই দেখেননি কৃষকেরা। এই বিলে বিজেপির কোনও সুবিধা হবে না। সুবিধা হবে কৃষকদের। বাইরে থেকে বিরোধী দলগুলো তাঁদের ভুলভাল বুঝিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে খেপিয়ে তুলছে।
আরও পড়ুন: চীন, ব্রিটেন সহ ৯টি দেশ থেকে কলকাতায় আসতে হলে আরটি-পিসিআর বাধ্যতামূলক