ওয়েবডেস্ক- পুলওয়ামার পরে গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের (Kashmir) বৈসারণে (Baisarn) গণহত্যার সাক্ষী থেকেছে গোটা দেশ। সাধারণ নিরীহ পর্যটকদের ঝাঁঝরা করে দিয়েছে জঙ্গিদের নিশানা। ঘটনায় ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে ভারত।
সন্ত্রাসবাদের (Terrorism) বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছে আমেরিকা, রাশিয়া, ব্রিটেন, আফগানিস্তান সহ একাধিক দেশ। প্রধানমন্ত্রী (Pm Narendra Modi) আগেই জানিয়েছিলেন, এই সন্ত্রাসবাদ মেনে নেবে না ভারত। উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে। জঙ্গিহানার ১৫ দিনের মাথায় উপযুক্ত জবাব দিল ভারত।
প্রত্যাঘাতের পরেই, ভারতীয় সেনা (Indian Army) এক্স হ্যান্ডেলে লিখল, ন্যায় (Justice) হয়েছে, জয় হিন্দ (Jai Hind)।
এই পুরো অপারেশনের দায়িত্বে ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল (National Security Advisor Ajit Doval) । কোথায়, কখন, কিভাবে হামলা হবে সমস্ত কিছু বিশ্লেষণ করে প্রধানমন্ত্রীকে জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গ্রিন সিগন্যালেই প্রত্যাঘাত। মঙ্গলবার রাত ১.৪৪ মিনিট নাগাদ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জঙ্গি ঘাঁটিতে আঘাত হানল ভারতের রাফাল ও অন্যান্য ফাইটার জেট। শুরু হয়ে যায় অপারেশন সিঁন্দুর।
আরও পড়ুন-‘অপারেশন সিঁদুর’ এর পর সাংবাদিক বৈঠক প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের
সদ্য বিয়ে করে স্বামীকে নিয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলেন। কিন্তু জঙ্গি নিশানায় শেষ স্বামী। খালি হাতেই ফিরে এসেছেন। সেই হারানোর বেদনাকে এইভাবে শ্রদ্ধাকে জানালো গোটা দেশ। প্রত্যাঘাতের নাম রাখা হল ‘অপারেশন সিঁন্দুর’। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে জইশ ই মহম্মদ ও লস্করেরপ্রধান কার্যালয়। সব আঘাত হানা হয়েছে পাকিস্তান সীমানায় না ঢুকে।
যে সব জায়গায় আঘাত হানা হয়েছে সেগুলি কোনও সাধারণ জনবহুল এলাকা নয়। সবগুলি ছিল জঙ্গি ঘাঁটি। প্রধানমন্ত্রী বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করাই ভারতের উদ্দেশ্য।
অসমর্থিত সূত্রে খবর পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নিহত সংখ্যা আপাতত ৮০। ভারতের হামলাকে সমর্থন জানিয়েছে ইজরায়েল। আমেরিকা জানিয়েছে, ভারতের প্রত্যাঘাত আশাতীত ছিল। কিন্তু সেটা যত তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যায়, সেটাই ভালো।
ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, পাকিস্তানের অন্তত ১০০ কিলোমিটার ভেতরে আঘাত হেনেছে বায়ুসেনা। যেসব জাগায় হামলা হয়েছে, সেগুলি অধিকাংশই জঙ্গি ঘাঁটি। এর মধ্যে রয়েছে ভাওয়ালপুর, যা ভারত পাক সীমানা থেকে ১০০ কিমি ভেতরে। এখানেই ছিল জইশের ক্যাম্প। রয়েছে মুরিদকে। এটি পাক সীমানা থেকে ৩০ কিমি ভেতরে। এখানে ছিল লস্করের ক্যাম্প। গুলপুর, সীমানা থেকে ৩০ কিমি ভেতরে। সাওয়ারি, পুঞ্চ থেকে ৩০ কিমি ভেতরে। বারনালা ক্যাম্প, সারজাল ক্যাম্প, মেহমুনা ক্যাম্প, বিলাল ক্যাম্প, কোটলি।
দেখুন আরও খবর-