চেন্নাই: তাঁর ধর্মীয় বিশ্বাস জাতীয় পতাকাকে স্যালুট জানানোর ‘অনুমতি’ দেয় না৷ ঠিক এই কারণে স্বাধীনতার ৭৫ তম পূর্তিতে এবার স্কুলে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেননি তামিলনাড়ুর একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা৷ শুধু তাই নয়, অভিযোগ, তেরঙ্গাকে স্যালুট জানানোর সময় গরহাজির ছিলেন তিনি৷ তারপর থেকেই প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়া ও পরে সংবাদমাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চর্চা শুরু হয়৷ ইতিমধ্যে ওই প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগ জমা পড়ে জেলার মুখ্য শিক্ষা অফিসারের কাছে৷ যদিও অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকার দাবি, তিনি খ্রিস্টান৷ তিনি শুধু ঈশ্বরকে শ্রদ্ধা জানান৷ তার অর্থ এটা নয় যে তিনি জাতীয় পতাকাকে অশ্রদ্ধা করেন৷
এ বছরই চাকরি জীবন থেকে অবসর নেওয়ার কথা তামিলসেলভি নামে ওই প্রধান শিক্ষিকার৷ তাই তাঁকে সংম্বর্ধনা জানাতে ১৫ অগাস্টের দিন স্কুলে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷ সেদিন স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সেদিন গোটা দেশজুড়ে চলে উদযাপন৷ সরকারি স্কুলগুলিতে জাতীয় পতাকা তোলা হয়৷ সাধারণত স্কুলগুলিতে প্রধান শিক্ষিকারাই ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকা উত্তোলন করেন৷ কিন্তু তামিলনাড়ুর ওই স্কুলে প্রধান শিক্ষিকার বদলে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রধান শিক্ষিকা পতাকা উত্তোলন করেন৷ স্কুলের এক কর্মীর কথায়, গত চার বছর ধরে উনি পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলেছেন৷ অসুস্থতার বাহানায় স্কুলে আসেন না৷
পরে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা এক ভিডিয়ো বার্তায় জানান, তিনি খ্রিস্টান ধর্মের বিশেষ সম্প্রদায়ভুক্ত হওয়ায় জাতীয় পতাকাকে স্যালুট জানান না৷ তামিলসেলভি বলেন, ‘আমি জাতীয় পতাকাকে সম্মান করি৷ কিন্তু ঈশ্বরকে স্যালুট জানাই৷ আর কাউকে নয়৷ তাই অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রধান শিক্ষিকাকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে বলি৷’ এরপরই তামিলসেলভির বিরুদ্ধে ধর্মাপুরির চিফ এডুকেশন অফিসারের কাছে অভিযোগ জমা পড়ে৷ তাতে বলা বয়েছে, এতে শিক্ষিকার ধর্মীয় পক্ষপাতমূলক আচরণ সামনে এসে পড়েছে৷ সরকারি পদে বসে ধর্মীয় পক্ষপাত দেখানো যায় না৷