নয়া দিল্লি: তামিলনাড়ুর কুন্নুরে সেনা কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃতদের ডিএনএ টেস্ট করানোর সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। বায়ুসেনার চপারটি ভেঙে আগুন ধরে যাওয়ায়, মৃতদেহগুলি একেবারে ঝলসে গিয়েছে। যে তিন সেনাকর্তাকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, হাসপাতালের দাবি অনুযায়ী, তাঁদের দেহের ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল। দুর্ঘটনাস্থল থেকে বাকি যাঁদের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে, কাউকেই দেখে চেনার উপায় ছিল না। এমন বীভৎস ভাবে দেহগুলি ঝলসে গিয়েছে। এমত অবস্থায় মৃতদেহগুলি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার আগে শনাক্ত করতে ডিএনএ টেস্ট করানোর সিদ্ধান্ত নিতে হল কেন্দ্রকে।
বুধবার বেলা পৌনে একটা নাগাদ নীলগিরি চা-বাগানের কাছে কপ্টার দুর্ঘটনায় ১৩ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। কপ্টারটিতে ১৪ জন ছিলেন। মৃতদের মধ্যে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত ও তাঁর স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াতও রয়েছেন।
এই দুর্ঘটনায় কপ্টারের একজনই জীবিত রয়েছেন। তিনি গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিং। তামিলনাড়ুর ওয়েলিংটনের এক সেনা হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন। তবে, গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিংয়ের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, বুধবার বেলায় নীলগিরি চা-বাগানের কাছে কপ্টারটি ভেঙে পড়ার আগে একটি গাছে ধাক্কা মারে। কপ্টারটি টুকরো টুকরো হয়ে আগুন ধরে যায়। যদিও আরও একটি সূত্রের দাবি, জেনারেল রাওয়াতের কপ্টার ভেঙে পড়ার আগেই আগুন ধরে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন-বিপিন রাওয়াতের বাড়িতে রাজনাথ, টুইটে শোকপ্রকাশ মোদির
যান্ত্রিক ত্রুটি নাকি বিরূপ আবহাওয়ার কারণে জেনারেল বিপিন রাওয়াতের কপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার পিছনে অন্তর্ঘাত রয়েছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে নানা মহল থেকে। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে বায়ুসেনার তরফে ইতিমধ্যে তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন বায়ুসেনার প্রধান চিফ এয়ার মার্শাল ভিআর চৌধুরি। কপ্টার দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় সেনা হাসপাতালে ৬ সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিমও গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।
দেশের প্রথম সিডিএস বিপিন রাওয়াতের উত্তরসূরি বাছতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে বৈঠক চলছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১১টা লোকসভায় কুন্নুর দুর্ঘটনা নিয়ে বিবৃতি দেবেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।