হায়দরাবাদ: হায়দরাবাদে (Hyderabad) বিশ্ববিদ্যালয়ের খাবারে মিলল ব্লেড। ঘটনা ঘিরে তুমুল উত্তেজনা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। প্রতিবাদে নেমেছে পড়ুয়ারা। হায়দরাবাদে ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (Hyderabad’s Osmania University) বিশ্ববিদ্যালয়ের গোদাবরী ছাত্রাবাসে ( Godavari Hostel) এই ঘটনা ঘটেছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে উদাসীন কর্তৃপক্ষ। আগে খাবারে পোকামাকড় পাওয়া গিয়েছিল। বার বার বলা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি, আর এবার আরও বড় ঘটনা ঘটেছে। খাবারের মধ্যেই ব্লেড মিলেছে। আমরা নিরাপত্তার অভাব অনুভব করছি।
শিক্ষার্থীরা উপাচার্য এবং প্রধান ওয়ার্ডেন সহ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। ছাত্ররা রাস্তা যে খাবারে ব্লেড পাওয়া গিয়েছিল, সেটিকে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে থাকে আর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে।
আরও পড়ুন: এয়ারটেলের পর জিও, ইলন মাস্কের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে বড় ঘোষণা
বিক্ষোভকারীরা দাবি করেছেন যে রেজার ব্লেড পাওয়া কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। তারা অভিযোগ করেছেন যে দুই দিন আগে মেসে পরিবেশিত বাঁধাকপির তরকারিতে কীট পাওয়া গেছে।
এমএ দর্শনের ছাত্রী এবং ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এবিভিপি সভাপতি চেলিমেলা দ্রুহান বলেন, আগেও এক ছাত্রের খাবারের মধ্যে গ্লাসের ভাঙা টুকরো পাওয়া গিয়েছিল। বার বার কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়, তারা সব ঠিক হয়ে যাবে বলে আশ্বস্ত করে। কিন্তু পরে আবারে সেই একই অবস্থা। দ্রুহানের আরও অভিযোগ, হস্টেলের কর্মীরাও নিজেদের মতো কাজ করে না, ফলে পড়ুয়াদের অনেক কাজ করে নিতে হয়। পড়ুয়াদের আরও অভিযোগ, পানীয় জলের উৎস আমরা কোথাও জানি না। জলের একটি ট্যাঙ্ক আছে, কিন্তু সেটি পরিষ্কারও হয় না, বার বারই পড়ুয়ারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমরা একটি বোর ওয়েল স্থাপন করতে বলেছিলাম, কিন্তু তারা সেই সব কিছুতে কর্ণপাত করেনি।
গত বছর খাবারের মান খারাপের প্রশ্ন তুলে একইভাবে আম্বারপেট ছাত্রীদের হস্টেলের সামনে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ দেখায়। সেই সময় ছাত্রীদের অভিযোগ ছিল, খাবারের মধ্যে কেন্নো পাওয়া গিয়েছিল, অসুস্থ হয়ে পড়ে প্রায় ১০ জন ছাত্রী। তাদের অভিযোগ, ২০২৩ সাল থেকে ছাত্রাবাসে এইভাবে অপরিষ্কার ভাবে খাবার দেওয়ার কাজ চলেছে। কর্তৃপক্ষকে বার বার বলেও কোনও লাভ হয় না।
দেখুন অন্য খবর: