হায়দরাবাদ: পাবে পার্টি করতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার এক নাবালিকা৷ গত শনিবার হায়দরাবাদের অভিজাত এলাকা জুবিলি হিলসে মার্সিডিজের ভিতর ওই নাবালিকাকে গণধর্ষণ করা হয়৷ অভিযুক্তরা সকলেই নাবালক এবং সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান৷ প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস জানিয়েছে, মিম বিধায়কের এক স্কুলপড়ুয়া ছেলে ওই দলের সদস্য৷ যদিও সে যৌন নির্যাতনে জড়িত নয় বলেই সূত্রের খবর৷ এ দিকে ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যেও কোনও অভিযুক্ত ধরা না পড়ায় পুলিসকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বিজেপি৷ তারা জানিয়েছে, নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ সত্ত্বেও পুলিস কাউকেই গ্রেফতার করেনি৷ পুলিসের বিরুদ্ধে তদন্তে গড়িমসির অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের বিজেপি নেতারা৷ গত শনিবারের ঘটনা হলেও তা সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসে৷
গত শনিবার ১৭ বছরের ওই নাবালিকা এক বন্ধুর সঙ্গে পার্টি করতে পাবে গিয়েছিল৷ কিছুক্ষণ বাদে ওই বন্ধু পাব থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর মেয়েটির সঙ্গে একটি ছেলের আলাপ হয়৷ ওই ছেলেটি তার বন্ধুদের সঙ্গে মেয়েটির পরিচয় করায়৷ তারপর সবাই মিলে পাব থেকে বেরিয়ে একটি কেকের দোকানে যায়৷ মেয়েটিকে তারা বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়৷ সদ্য পরিচয় হওয়া ওই ছেলেদের কথা বিশ্বাস করে মেয়েটি মার্সিডিজে ওঠে৷ তারপরই যৌন হেনস্তার শিকার হয় সে৷
পুলিস জানিয়েছে, মার্সিডিজ নিয়ে তারা জুবিলি হিলস এলাকায় যায়৷ সেখানে গাড়ি দাঁড় করিয়ে মেয়েটিকে একে একে সবাই ধর্ষণ করে৷ ধর্ষণের সময় বাইরে একজন করে পাহারা দিচ্ছিল৷ যাতে ভিতরে কী চলছে তা কেউ টের না পায়৷ গণধর্ষণের ঘটনায় এক মিম বিধায়কের ছেলের নামও উঠে এসেছে৷ যদিও পুলিসের দাবি, অপরাধ সংগঠিত হওয়ার আগেই ভয়ে সে পালিয়ে গিয়েছিল৷ তবে বাকি অভিযুক্তরা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান৷ সকলেই নাবালক৷ কেউ একাদশ কেউ বা দ্বাদশ শ্রেনির ছাত্র৷
১ জুন পরিবারের তরফে জুবিলি হিলস থানায় অভিযোগ জানানো হয়৷ প্রথমে মেয়েটি ধর্ষণের কথা পরিবারের কাছে চেপে গিয়েছিল৷ কিন্তু মেয়ের ঘাড়ে, গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখে সন্দেহ হয় বাবার৷ মেয়েটি পরিবারকে জানিয়েছিল, পাব থেকে ফেরার পথে কয়েকজন তার উপর চড়াও হয়৷ মেয়েটির কথা শুনে পুলিসের কাছে এই অভিযোগ করেন বাবা৷ পরে পুলিস মেয়েটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রকৃত ঘটনা সামনে এসে পড়ে৷ তার ভিত্তিতে পুলিস বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করেছে৷ শারীরিক পরীক্ষার জন্য মেয়েটিকে পাঠানো হয় হাসপাতালে৷
আরও পড়ুন: Karnataka Bus Accident: চলন্ত বাসে আগুনে পুড়ে মৃত্যু একই পরিবারের সাত সদস্যের
কিন্তু ঘটনার পর এতদিন কেটে গেলেও একজনও অভিযুক্ত ধরা না পড়ায় পুলিসের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ উঠছে৷ তেলঙ্গনার বিজেপি নেতা কৃষ্ণাসাগর রাও কটাক্ষ করে বলেন, ‘পুলিস কি অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য মিম সাংসদ ওয়েইসি বা মুখ্যমন্ত্রী কেসিআরের অনুমতির অপেক্ষা করছে? যদিও পুলিসের বক্তব্য, মেয়েটি প্রথমে অভিযুক্তদের পরিচয় জানাতে পারেনি৷ সে প্রথমে একজনের নাম নিয়েছিল৷ সিসিটিভি ফুটেজ এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে বাকি অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হচ্ছে৷