সুপ্রিম কোর্ট: চিকিৎসকদের যদি জেনেরিক ওষুধ লিখতে বাধ্য করা যায়, তাহলে ওষুধ সংস্থাগুলির ঘুষ সংস্কৃতি (Bribe Culture) সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। প্রয়োজন ছাড়াই অথবা অপ্রাসঙ্গিক এবং বেশি দামের ওষুধ রোগীদের কিনতে বাধ্য করার অভিযোগ রয়েছে ওষুধ কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে। এর পিছনে কারণ হিসেবে, ওষুধের সংস্থাগুলি চিকিৎসকদের ঘুষ দেয় বলে অভিযোগ। এই প্রেক্ষাপটে চিকিৎসকদের জেনেরিক ওষুধ লিখতে বাধ্য করা হলে সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে মন্তব্য বিচারপতি বিক্রম নাথ, বিচারপতি সঞ্জয় কারল ও বিচারপতি সন্দীপ মেহতার।
যতদিন না ইউনিফর্ম কোড অফ ফার্মাসিউটিক্যাল মার্কেটিং আইন হিসেবে কার্যকর হচ্ছে, ততদিন ওষুধের এমন অনৈতিক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আদালত গাইডলাইন দিক, এমন দাবিতে হওয়া মামলায় আদালতের উপরোক্ত মন্তব্য। এই অভিযোগে কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিসও দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন: এপ্রিলে দেশে ২.৩৭ লক্ষ কোটি টাকার রেকর্ড জিএসটি সংগ্রহ
বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে সময় লাগবে। তাই আদালতে গ্রীষ্মের ছুটির পর ২৪ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। হলফনামা মারফত সরকার একথা জানিয়েছে। কিন্তু ওই কমিটি এখনও পর্যন্ত এই প্রসঙ্গে কী পরামর্শ বা সুপারিশ করেছে, তার উল্লেখ হলফনামায় নেই বলে মামলাকারীদের বক্তব্য।
শুনানিতে বিচারপতি মেহতা (Justice Mehta) জানান, কোনও নির্দিষ্ট সংস্থার অথবা ব্র্যান্ডের ওষুধের বদলে ডাক্তাররা যাতে ওষুধের জেনেরিক নাম লেখেন, এমন কোন বাধ্যতামূলক সরকারি নির্দেশ কি আছে? কারণ, আপনারা যা চাইছেন ঠিক এমনই সরকারি নির্দেশিকা রয়েছে রাজস্থানে। সেখানে কোনও ডাক্তার কোনও নির্দিষ্ট সংস্থার ওষুধের নাম লিখতে পারেন না।
এক আইনজীবী জানান, সারা দেশের জন্য নির্দিষ্ট কোনও সরকারি নির্দেশিকা নেই। রয়েছে একটি ‘ভলান্টারি কোড’। যেখানে বলা হয়েছে, ডাক্তাররা যেন জেনেরিক ওষুধ রোগীদের দেন।
দেখুন অন্য খবর: