ওয়েবডেস্ক: পাকিস্তানের হামলার (Pakistan) জবাব দিল ভারত (India)। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত (POK) কাশ্মীরে ৯ জঙ্গি ঘাঁটি ধবংস করে দিল ভারত। ভারতীয় বিমান বাহিনীর যুদ্ধ বিমান (Indian Air Force fighter jet) যেমন-২০০০ ও সুখোই-৩০ (2000 and Sukhoi-30) এমকেআই বাহাওয়ালপুর, কোটলি, মুজাফফরাবাদে জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এই এলাকাগুলিতেই ঘাঁটি ছিল জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই- মহম্মদ, লস্কর-ই তৈবার ঘাঁটি ছিল।
ভারতে এই হামলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করল রাফাল। স্ক্যাল্প ক্রুজ মিসাইল ও হ্যামার প্রিসিশন-গাইডেড গোলাবারুদ দিয়ে রণসজ্জিত রাফাল এই প্রত্যাঘাত হানল। ভারতীয় আকাশসীমার মধ্যে থেকেই এই আক্রমণ। রাফাল লক্ষ্যভেদে সক্ষম হল।
ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌসেনা ও বায়ুসেনা মিলে এই যৌথ অভিযান চালায়। পহেলগাম হামলার পর থেকেই জোরকদমে প্রস্তুতি নিচ্ছিল ভারত। সেনাবাহিনীর তিন বিভাগকেই দেওয়া হয়েছে ফ্রি হ্যান্ড। অতি সক্রিয় ভারতীয় গোয়েন্দাবিভাগ। কোথায় কিভাবে হামলা চালানো হবে তার নিখুঁত পরিকল্পনা। অবশেষে বুধবার রাত দেড়টার দিকে শুরু অভিযান, অপারেশন সিঁন্দুর (Operation Sindur)।
আরও পড়ুন: ভারতে পাকিস্তানের ফাইটার জেট ! তারপর কী হল দেখুন
বাহাওয়ালপুর, কোটলি, মুফাফফরাবাদে এই হামলার চালান হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে তরফে এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, এই বিমান হামলার উদ্দেশ্যই হল জঙ্গিদের উপযুক্ত জবাব দেওয়া। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে যুদ্ধের কোনও উদ্দেশ্য নেই ভারতের। গোটা অপারেশনের পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অপারেশনের আগে অজিত দোভাল প্রায় ১৫ টি মিটিং করছেন।
বুধবার পাক সেনার তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, পাকিস্তানের মোট ৬ টি জায়গায় ২৪টি আঘাত হানা হয়েছে। এই আঘাতে ৮ জন পাকিস্তানি শহিদ হয়েছেন, আহত ৩৫ জন, নিখোঁজ দুজন। বিবৃতিতে দাবি, পঞ্জাব প্রদেশের একটি মসজিদে হামলার ফলে এক তিনবছরের শিশুকন্যা মারা গিয়েছে।
দেখুন আরও খবর: