ওয়েব ডেস্ক: বিমানবন্দর থেকে টেক অফের কয়েকমিনিটের মধ্যেই ভেঙে পড়ে যাত্রীবাহী এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India Plane Crash) ড্রিমলাইনার বিমান। ডাক্তারি পড়ুয়াদের আবাসনের উপর ভেঙে পড়ে (Ahmedabad Plane Crash) লন্ডনগামী এই বিমান। দুর্ঘটনার সময় বিমানে ছিলেন ২৪২ জন। তাঁদের মধ্যে অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু কীভাবে ঘটল এই দুর্ঘটনা? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুলে দেখা হবে বিমানের ‘ব্ল্যাক বক্স’ (Black Box)। সেখানেই রয়েছে অজানা সব তথ্য।
জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় এয়ার ইন্ডিয়ার এই বিমানের ককপিটে ছিলেন ক্যাপ্টেন সুমিত সবরওয়াল (Sumeet Sabharwal)। বিমান ওড়ানোর ক্ষেত্রে তিনি বেশ অভিজ্ঞ। ইতিমধ্যে ৮,২০০ ঘণ্টারও বেশি বিমান ওড়ানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে ক্যাপ্টেন সবরওয়ালের। শুধু তাই নয়, তাঁর সঙ্গে সহ-পাইলট তথা ফার্স্ট অফিসার হিসেবে ক্লাইভ কুন্দরেরও (Clive Kundar) ১,১০০ ঘণ্টা বিমান ওড়ানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। এখন প্রশ্ন হল যে, দুই অভিজ্ঞ পাইলট থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল?
আরও পড়ুন: এয়ার ইন্ডিয়ায় মৃত্যুমিছিল! জানুন অতীতের ৫ ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা সম্পর্কে
ডিজিসিএ সূত্রে খবর, বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার মডেলের বিমানটি দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড়ে গিয়েছিল। মাত্র এক মিনিট পর, ১টা ৩৯ মিনিটে, পাইলট এটিসিকে ‘মে ডে কল’ (May Day Call) পাঠান বলে জানা গিয়েছে। ‘মে ডে কল’ সাধারণত মারাত্মক বিপদের সংকেত হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এরপর থেকেই বিমানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বলে জানিয়েছে এটিসি।
এটিসি আরও জানায়, ‘মে ডে’ কলের পর বিমানটি ৬২৫ ফুট উচ্চতা থেকে প্রতি মিনিটে ৪৭৫ ফুট গতিতে নিচের দিকে নামতে শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি মেঘানি নগর এলাকায় ভেঙে পড়ে। প্রাথমিকভাবে ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিমানের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করেছে ডিজিসিএ এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থা।
দেখুন আরও খবর: