কলকাতা: দিদির ভাষণ শোনানোর জন্য হোর্ডিং দেওয়া হয়েছিল রাজ্যজুড়ে। শহিদ দিবসের আগেই খুলে ফেলা হল সেই হোর্ডিং। আমেদাবাদ, ভদোদরা আর সুরাট এই তিনটি প্রধান শহর সহ গুজরাটের মোট ৩৩ টি জেলায় খোলা হয়েছে এই হোর্ডিং। তৃণমূলের তরফে লখনউতে রয়েছেন মন্ত্রী সুখেন্দুশেখর রায়। তিনিই উত্তর ভারতে তৃণমূলের এই বিশেষ কর্মসূচির দায়িত্ত্বে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের শহিদ দিবসের দিনেই বড় কর্মসূচি বিজেপির, দিল্লিতে ধর্ণায় দিলীপ ঘোষ
মোদির রাজ্য গুজরাট। এ বছর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল বিজেপিকে বিপুল ভোটে হারিয়ে ক্ষমতায় আসে পশ্চিমবঙ্গে। সেই রাগ থেকেই কী বিজেপিশাসিত রাজ্যে চলতে দেওয়া হবে না এই সমাবেশ উঠছে প্রশ্ন। শুধু গুজরাট নয়, বাধা দেওয়া হয়েছে বিজেপিশাসিত ত্রিপুরাতেও। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বুধবার সকালে কৈলাস নগরে জমায়েত করেছিলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা আশিসলাল সিনহা-সহ অন্যান্য নেতারা। সেই সময় বিজেপি কর্মীরা তাঁদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এমনকী, ৮২ জন তৃণমূল নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে ত্রিপুরার পুলিশ। এদিনের এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: রাজ্যজুড়ে শহিদ দিবস পালন তৃণমূল কংগ্রেসের, শহিদ স্মরণে নেতা-কর্মীরা
একুশে জুলাই শহিদ দিবস উপলক্ষে এ বছর তৃণমূল কংগ্রেস সারা দেশ জুড়ে ভার্চুয়ালি সমাবেশ করছে। এবার প্রথম উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, দিল্লি, তামিলনাড়ু, অসম এই পাঁচ রাজ্যে জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখানো হবে দিদির ভাষণ। বাম সরকারের বিরুদ্ধে ১৯৯৩ সালে তখনকার যুব কংগ্রেস সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ‘মহাকরণ অভিযান’ এ পুলিশের গুলিতে প্রাণ গিয়েছিল ১৩ জন যুব কংগ্রেস কর্মী। পরের বছর ১৯৯৪ সাল থেকে দিনটি শহিদদের উদ্দেশ্যে পালন করে আসছে তৃণমূল নেতৃত্ব।