ওয়েবডেস্ক: কাশ্মীরের (Kashmir) পহেলগামে (Pahalgam) নিরীহ পর্যটকদের উপর জঙ্গিদের বর্বরোচিত হামলার পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারত। মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
ভারতের ‘অপারেশন সিঁন্দুর’ (Operation Sindur) এর ধাক্কায় বেসামাল পাকিস্তান। এই অস্থির আবহে দেশের বিভিন্ন রেলওয়ে স্টেশনগুলিকে জঙ্গিদের সহজ টার্গেট হতে পারে, বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করছেন গোয়েন্দারা। এর পরেই দেশের সমস্ত রেলওয়ে স্টেশনগুলিতে হাই অ্যালার্ট (High Alert) জারি করেছে ভারত সরকার। স্টেশনগুলিতে (Railway Station) নিরাপত্তা ব্যবস্থা (Security) কঠোর থেকে কঠোরতর করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রেলমন্ত্রকের শীর্ষ সূত্রে জানানো হয়েছে, ‘অপারেশন সিন্দুর’ অভিযানের পরেই যাত্রীর সুরক্ষার বিষয় নিয়ে রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্সের (আরপিএফ) কাছে গোপন ‘নোট’ পাঠানো হয়েছে। সেখানে নিরাপত্তা আধিকারিকদের স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোনও যাত্রীর কাছে যদি একটিমাত্র ঝোলা ব্যাগও থাকে, তাও স্ক্যানারে পরীক্ষা করাতে হবে। শুধু ব্যাগ খুলে চোখে দেখে নিলেই শেষ হবে না। স্টেশনে যারাই প্রবেশ করবে তাদের ফুল বডি স্ক্যান করতে হবে। সব জায়গায় যদি ডোর মেটাল ফ্রেমের ব্যবস্থা করা না যায়, তাহলে হ্যান্ড মেটাল স্ক্যানারের সাহায্য নিতে হবে। আরপিএফের (RPF) সঙ্গে জিআরপিকেও (GRP) সমন্বয় রক্ষা করে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সন্দেহজনক কিছু দেখলেই রিপোর্ট করতে হবে। প্রয়োজনে আইন অনুযায়ী জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্য, ভারতীয় জওয়ানদের ফ্রি টিকিট এয়ার ইন্ডিয়ার
বুধবার একাধিক স্টেশনে মক ড্রিল চলে। এর মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ-মধ্য রেলের কাচেগুড়া, রাইচুর, ঔরঙ্গাবাদ স্টেশন। মক ড্রিল হয়েছে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের জলপাইগুড়ি টাউন, দার্জিলিং, শিলিগুড়ি টাউন, নিউ কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশনেও। পাশাপাশি মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস স্টেশনেও মক ড্রিল হয়েছে।
মধ্য রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক স্বপ্নীল নিলা জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষকে সচেতন করাই আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। জরুরি অবস্থায় কিভাবে মোকাবিলা করতে হবে, তাই একটি পাঠ দেওয়া হয়েছে।
দেখুন অন্য খবর-