চণ্ডীগঢ়: ধর্মীয় শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হরিয়ানা। অশান্তির আঁচ জ্বলছে নুহ (Nuh)জেলায়। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে এখনও অবধি ৬ মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৭০ জন। অশান্তির আঁচ ছড়িয়েছে গুরুগ্রামেও (Gurugram)। মঙ্গলবার বিকেলে সেক্টর ৭০-র একটি আবাসনের পাশের কয়েকটি দোকান ও ঝুপড়িতে আগুন (Arson) লাগিয়ে দেওয়া হয়। যার পর রাজধানী দিল্লিতেও (Delhi) সতর্কতা জারি করেছে পুলিশ।
হিংসার ঘটনায় হাসপাতাল, মুদি দোকান এবং মদের দোকানও ব্যাপক ভাঙচুরের শিকার হয়। এদিকে, এই সংঘর্ষ-অশান্তি নিয়ে ভুয়ো খবরও ছড়িয়ে পড়েছে। গতকালই ভুয়ো খবর রটে যে সমস্ত অফিস বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গুরুগ্রাম পুলিশের তরফে এই তথ্য ভুয়ো বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল রাজ্যবাসীকে শান্তি বজায়ের আর্জি জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত মোট ১১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রদীপ শর্মা, কো-অর্ডিনেটর, বজরং দল, বাদশাপুর, চিকিৎসার সময় দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে আহত হয়ে মারা যান। হরিয়ানা পুলিশের প্রায় ৩০টি কোম্পানি এবং ২০টি CAPF কোম্পানি রাজ্য জুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: টাকার বিনিময়ে প্রাক্তন প্রেমিকাকে বন্ধুদের কাছে লেলিয়ে ধৃত নাচের শিক্ষক
হরিয়ানার বিভিন্ন অংশে সাম্প্রদায়িক হিংসার পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লি পুলিশ গত ২রা অগাস্ট হিংসার ঘটনায় এখনও অবধি ৪৪টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। কমপক্ষে ১১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সংঘর্ষের জেরে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। গুজব ছড়ানোর আশঙ্কায় বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। যান চলাচলেও কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি।
ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (পিআরও) সুনাম নালওয়া বলেছেন, “দিল্লি সংলগ্ন হরিয়ানার কয়েকটি জেলায় সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে, দিল্লির সমস্ত সংবেদনশীল স্থানে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং প্রয়োজনে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে। দিল্লির নিরাপত্তা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার যে কোনো চেষ্টা কঠোরভাবে মোকাবেলা করা হবে।