চণ্ডীগড়: মোবাইল পরিষেবা ফেরালেও কৃষকদের মাথা থেকে ছায়া কেড়ে নিল হরিয়ানা সরকার। শুক্রবার কারনালে আবহাওয়া মেঘলা আর আর্দ্র। তাপমাত্রা দুপুরের দিকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু গরম অনুভূত হচ্ছে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। রাজ্য মিনি সচিবালয়ের বাইরে কৃষকরা বিক্ষোভে বসেছেন। প্রতিদিন এখানে বড় বড় গাছের ছায়া থাকে। আজ অর্থাৎ ১০ সেপ্টেম্বর থেকে তা উধাও। প্রশাসন গাছের ডাল কেটে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৮ বছরের কম বয়সীদের ভ্যাকসিন-পর্যবেক্ষণের কাজ প্রায় শেষ, পরবর্তী সিদ্ধান্ত শীঘ্রই
প্রবল গরমে যাতে বিক্ষোভকারী কৃষকরা আরও অসুবিধার মধ্যে পড়েন তাই এই অমানবিক ব্যবস্থা। বেছে বেছে সেই সব গাছের ডাল একেবারে কেটে সাফ করে দিয়েছে হরিয়ানা সরকার, যে গাছগুলো সচিবালয়ের বাইরে রাস্তার উপর ছায়া দিত। যার নীচে বসতেন কৃষকেরা। প্রশাসনের এই মনোভাবে অবাক কৃষকেরা। পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদে ১১ দিন ধরে টানা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু হরিয়ানা সরকার ও কৃষকদের আলোচনায় এখনও পর্যন্ত কোনও রকম সমাধান সূত্র মেলেনি। সংযুক্ত কিষান মোর্চার প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন সচিবালয়ের বাইরে এই ধরনা কর্মসূচি তাঁরা চালিয়ে যাবেন।
সচিবালয়ের বাইরে কেটে দেওয়া হয়েছে গাছের ডাল৷ শুক্রবার৷ ছবি সৌজন্যে ইন্টারনেট৷
আরও পড়ুন: ৮ বছর পর জানা গেল এনকাউন্টারে মৃতরা মাওবাদী নন, ছত্তীসগঢ়ে বিচারপতির রিপোর্ট ঘিরে তোলপাড়
এ দিন সকালে সচিবালয়ের বাইরে গিয়ে দেখা গেল একাধিক গাছের ডাল কেটে দেওয়া হয়েছে। সচিবালয়ের পাঁচিল লাগোয়া যে গাছ, তার ডালগুলো একেবারে ছেঁটে দিয়েছে কারনালের প্রশাসন। গাছের উঁচু অংশের ডাল পুরো সাফ। পাশেই কয়েক মিটার ব্যবধানে আরও একটি গাছ, তারও ডালগুলোর একই অবস্থা। রোদ্দুর এসে পড়েছে রাস্তায়। সচিবালয়ের বাইরে এই রাস্তার উপরে সবসময়ই ছায়া পড়ে থাকে। কৃষকেরা ওই ছায়ার নীচেই ধরনা বিক্ষোভ করছেন। কৃষকদের মাথার উপর থেকে সেই ছায়া কেড়ে নিল হরিয়ানা সরকার। ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকায়েতের বক্তব্য, ‘চণ্ডীগড়ের নির্দেশে প্রশাসন চলছে। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’