ওয়েব ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডে নাবালিকা মেয়েকে গণধর্ষণ (Gang Rape ) করানোর অভিযোগ উঠল মায়ের বিরুদ্ধে। গ্রেফতার খোদ নির্যাতিতার মা ও প্রেমিক। অভিযুক্ত মা বিজেপি মহিলা মোর্চার প্রাক্তন জেলা সভানেত্রী (Haridwar BJP Women Leader)। মেয়েকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে প্রেমিককে দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করানোর অভিযোগ। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে, পকসো ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনায় রাজনৈতিক মহলও তোলপাড়। অভিযুক্তকে নেত্রীকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি।
মা এবং মেয়ের সম্পর্ক হলো একটি বিশেষ ধরনের বন্ধন। এটি ভালোবাসার, বিশ্বাসের, এবং গভীর সম্পর্কের একটি সুন্দর উদাহরণ। মা ও মেয়ের সম্পর্ক অত্যন্ত বিশেষ এবং মজবুত। উত্তরাখণ্ডের ঘটনাই কলঙ্কিত করল মা-মেয়ের সম্পর্ককে। এই ঘটনা অত্যন্ত জঘন্য, নির্মম, নৃশংস, লজ্জাজনক, মর্মান্তিক। এই শব্দগুলোও যেন এই অপরাধের কাছে খুব ছোট। উত্তরাখণ্ডে নিজের মেয়েকে প্রেমিক ও অন্যান্য ব্যক্তিদের দিয়ে ধর্ষণ করায় মা। মেয়ের বয়স মাত্র ১৩। জানা গিয়েছে, নাবালিকাকে সাত-আটবার ধর্ষণ করা হয়। যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার নাবালিকার মা তথা বিজেপি মহিলা মোর্চার প্রাক্তন জেলা সভানেত্রী। নির্যাতিতা নাবালিকা জানিয়েছে, ‘মায়ের প্রেমিক সুমিত পাটওয়াল এবং অন্যান্য ব্যক্তিরা একাধিকবার ধর্ষণ করেছে’। ‘ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে ধর্ষণ করা হয়েছে তাঁকে।
আরও পড়ুন: বিরাটদের দেখতে জমায়েত ৮ লাখ? বয়ান বদল কর্নাটক সরকারের
বিষয়টি জানতে পেরে হতবাক নির্যাতিতার বাবা। বাবার অভিযোগ,জানুয়ারিতে প্রেমিক সুমিত পাটওয়াল এবং তার বন্ধু শুভমকে নিয়ে গাড়িতে করে তার স্ত্রী তাদের মেয়েকে নিয়ে যান। তার নাবালিকা মেয়েকে জোর করে মদ্যপান করানো হয়। তারপর যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হওয়ায় গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত মা ও তাঁর প্রেমিক সুমিত পাটওয়ালকে। হরিদ্বারে শিবমূর্তি চকের কাছে অভিযুক্ত প্রেমিক সুমিত পাটওয়াল একটি হোটেল ভাড়া নেয়। স্বামীর সঙ্গে বিবাদের পর প্রেমিকের সঙ্গেই সেখানেই থাকতেন অভিযুক্ত মা। পুলিশি তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, আগ্রা, বৃন্দাবন এবং হরিদ্বারের হোটেলেও ওই নাবালিকাকে গণধর্ষণ করা হয়। মেয়েকে নির্যাতনের কথা কাউকে জানালে তাকে এবং তার বাবাকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
গুরুতর অভিযোগের পর বিজেপি ওই মহিলাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। এই মহিলা বিজেপি মাহিলা মোর্চার জেলা সভাপতি ছিলেন। বিজেপির প্রোগ্রামগুলির বিভিন্ন ফোরামে তাকে প্রায়শই স্থানীয় এবং বড় নেতাদের সঙ্গে দেখা হত। তবে কিছু সময়ের জন্য, পার্টি তার নিষ্ক্রিয়তার কারণে তাকে পোস্ট থেকে সরিয়ে দেয়। বিজেপি জেলা সভাপতি আশুতোষ শর্মা একটি চিঠি দিয়ে তাকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কারের কথা জানান। যদিও অভিযুক্তের আচরণের জন্য ২০২৪ সালের অগাস্টে তাকে মহিলা মোর্চার পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছিল।
দেখুন ভিডিও