গান্ধীনগর: অসমের জেল থেকে জামিনে ছাড়া পেয়ে সে রাজ্যের বিজেপি সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে সুর আরও চড়ালেন জিগনেশ মেবানি৷ গুজরাতে ফিরে আসার পর সোমবারের সাংবাদিক সম্মেলেনে নির্দল এই বিধায়কের বিস্ফোরক অভিযোগ, তাঁর ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করতে জঘন্য ষড়যন্ত্র করা হয়েছে৷ মিথ্যা মামলায় তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত৷
গত মাসে গুজরাতের পালনপুর শহর থেকে জিগনেশ মেবানিকে গ্রেফতার করে অসম পুলিস৷ টুইটে তিনি ধারাবাহিকভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করায় ১৯ এপ্রিল অসমের এক বিজেপি নেতা জিগনেশের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করেন৷ যার ভিত্তিতে সে দিনই গুজরাতের দলিত নেতাকে মধ্যরাতে গ্রেফতার করে অসম পুলিসের একটি দল৷ জামিন পাওয়ার পর জিগনেশ বলেন, ‘নীরব মোদি, মেহুল চোকসিকে ধরতে পারেনি৷ বিজয় মালিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনি৷ আর টুইট করার জন্য জিগনেশ মেবানিকে গ্রেফতার করে গুজরাত থেকে ২৫০০ কিমি দূরে অসমের জেলে নিয়ে যাওয়া হল৷ শুধু তাই নয়, এক মহিলাকে দিয়ে দ্বিতীয় এফআইআর করানো হল৷ এটাকে কাপুরষতা ছাড়া আর কী বলে৷ পুলিসের সঙ্গে অভব্য আচরণ করার অভিপ্রায় থাকলে সেটা গুজরাতে করতাম, যখন আমাকে ওরা গ্রেফতার করতে এসেছিল৷ অসমের এক মহিলা পুলিস কর্মীর সঙ্গে হাতাহাতি করে কী লাভ আমার৷ এটা বিজেপি সরকার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সচিবালয়ের মিলিত ষড়যন্ত্র৷ ওরা আমার আত্মবিশ্বাসকে ভাঙতে চেয়েছিল৷ কিন্তু তাতে কোনও লাভ হল না৷’
এ দিনের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে ১ জুন গুজরাত বনধের ডাক দেন জিগনেশ মেবানি৷ একাধিক ইস্যুতে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করার হুঁশিয়ারি দেন৷ হুঙ্কার ছেড়ে বলেন, ‘২২টি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে৷ এর সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে শাস্তি দিতে হবে৷ পাশাপাশি আমার বিধানসভা এলাকার অনেক দলিতকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে৷ সেই সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে৷’
আরও পড়ুন: Allahabad High Court: মথুরার জেলাশাসকের বিরুদ্ধে জামিনঅযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা এলাহাবাদ হাইকোর্টের