ওয়েব ডেস্ক: জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের (GST Council Meeting) পর দেশের কর ব্যবস্থায় বিরাট পরিবর্তন এনেছে মোদি সরকার। করের স্ল্যাব বদল থেকে বিভিন্ন জিনিসে করমুক্তিকরণ- সবই হয়েছে জিএসটি ২.০-তে। এদিকে সদ্য-ঘোষিত জিএসটি (GST) জমানায় কয়লার কর (Tax On Coal) ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে হলে ১৮ শতাংশ। তবে এক্ষেত্রে সেস আদায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সরকারের আশা, বাড়বে না কয়লার দাম। কী হতে পারে শেষপর্যন্ত? চলুন হিসেবটা বুঝে নেওয়া যাক।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা মোতাবেক, আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে কয়লায় জিএসটি বাড়ছে। কিন্তু প্রতি টনে ৪০০ টাকা সেস আদায় বন্ধ হচ্ছে। সব মিলিয়ে ভালো মানের কয়লার দাম কিছুটা বাড়তে পারে। তবে সাধারণ মানের কয়লার দাম খানিকটা কমবে বলেই আশা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে জিএসটি ২.০-তে তাপ-বিদ্যুতের প্রয়োজনীয় কয়লার দাম কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তাতে সামান্য কমতে পারে বিদ্যুতের বিল (Electricity Bill)। তবে ভালো মানের কয়লা যেসব শিল্পে লাগে, সেইসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে সেসব পণ্যে।
আরও পড়ুন: বিমায় জিএসটি ছাড়ে আদৌ কতটা লাভ আদ আদমির?
তবে রাজ্যগুলোর সমস্যা অন্যরকম। অনেক রাজ্যই মনে করছে, নানা পণ্যে জিএসটির হার কমায় রাজ্যগুলোর আয় কমবে। কেন্দ্রের বক্তব্য, দাম কমলে বিক্রি বাড়বে, তাতে মোট কর আদায় বেড়ে যাবে। তবে কমপেনসেটরি সেস বন্ধ হওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের মতো কয়েকটি রাজ্য মনে করছে, আয় কমবেই। কী করতে পারে রাজ্যগুলো?
২০২৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায় বলছে, খনিজে কর বসাতে পারবে রাজ্যগুলো। কর-ক্ষতি মেটাতে পশ্চিমবঙ্গের মতো কয়লা-সমৃদ্ধ রাজ্যগুলো বসাতে পারে অতিরিক্ত শুল্ক। সেক্ষেত্রে কিছুটা বাড়বে কয়লার দাম। বিদ্যুতের দামও বাড়বে। অনেকের মতে, কয়লার উপর এতটা জিএসটি বাড়ার ফলে মূল্যমান কমবার আশা প্রথমেই জলে গিয়েছে।
দেখুন আরও খবর: