নয়াদিল্লি : জ্বালানির দরে বসতে পারে জিএসটি। যার ফলে কমতে পারে জ্বালানির দাম। সেই সুবাদে তেলের ছ্যাঁকা থেকে কিছুটা হলেও হলে রেহাই মিলতে পারে আমজনতার। কাল শুক্রবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন-এর পৌরহিত্য লখনউ-এ বসছে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক। সূত্রের খবর, বৈঠক এ রাজ্যের অর্থমন্ত্রীর সংখ্যা গরিষ্ঠের সায় মিললে পেট্রোল-ডিজেলের উপর জিএসটি লাগু করবে কেন্দ্র। রাজনৈতিক মহলের মতে, উত্তর প্রদেশ উত্তরাখণ্ড-সহ পাঁচটি রাজ্য নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। সেই ভোট বৈতরণী পার করতেই তেলের দাম কমাতে উঠে পড়ে লেগেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।
গত কয়েক বছরের দফায় দফায় বেড়েছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। দোসর তার রান্নার গ্যাস। এই নিয়ে বিরোধী দলগুলো কেন্দ্রে বিজেপি সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেও উপযুক্ত পদক্ষেপ তো দূরের কথা উল্টে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দর ও জ্বালানি ক্ষেত্রে পূর্বসূরী কংগ্রেস সরকারের ফেলে যাওয়া বিশাল ঋণের দোহাই দিয়ে এসেছে বিজেপি। এরই মধ্যে গত জুনে এক জনস্বার্থ মামলার ভিত্তিতে জ্বালানিকে জিএসটি-র আওতায় আনার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলকে ভেবে দেখতে বলেছিল কেরল হাই কোর্ট। কিন্তু, তারপরেও কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের বদলে দাম বাড়তে বাড়তে অধিকাংশ রাজ্য লিটার পিছু ১০০ টাকা পেরিয়েছে পেট্রোল-ডিজেলের দর। এবার বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশের দরজায় কড়া নাড়তে নড়েচড়ে বসেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।
আরও পড়ুন: ১১ বছর ধরে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে স্কুল, রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, মূল্য কর, সেস, বাড়তি ভ্যাট বা সারচার্জ ও এক্সাইজ ডিউটি ছাড়াও জ্বালানি চাহিদা অপরিশোধিত তেলের দাম পরিবহন খরচ ও ডিলারের কমিশনের নিরিখে দাম নির্ধারণ করে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক।
সেই সূচকের ভিত্তিতে একেক রাজ্যে একেক দামে বিক্রয় পেট্রোল ডিজেল। যেমন, বর্তমানে দিল্লিতে এক লিটার পেট্রোলের দাম ১০১ টাকা, মুম্বইয়ে ১০৭ টাকা, কলকাতা ১০১ টাকা ৬৫ পয়সা এবং চেন্নাই ৯৮ টাকা ৯৬ পয়সা। এর মধ্যে জনসংখ্যা ও একটা বড় মাপকাঠি। কারণ যেখানে লোকসংখ্যা যত বেশি সেখানে জ্বালানির ব্যবহার তত বেশি । আর অধিক বিক্রিতেই এই অধিক লাভ রাজ্যের।
আরও পড়ুন: বিহারে স্কুল পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ক্রেডিট ৯০০ কোটি টাকা, শুরু তদন্ত
উত্তর প্রদেশ ও বিহারের রাজকোষে যে পরিমাণ অর্থ সঞ্চয় হয় গুজরাত তার চেয়ে অনেক পিছিয়ে। অর্থনীতিবিদদের একাংশ বলছেন, জ্বালানির উপরে জিএসটি বসালে শেখাতে মোট প্রাপ্ত এক সমান ভাগ পাবে কেন্দ্র রাজ্য এবং এক ধাক্কায় দাম কমবে লিটার পিছু পেট্রোল-ডিজেলের। রাজনীতির দায় আপাতত ভোটের ছ্যাঁকা থেকে পরিত্রাণ পেতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সেই দিকেই ঝুঁকতে পারে বলে সূত্রের খবর।