নয়াদিল্লি: জাতীয় নগদীকরণ পাইপলাইন(National Monetisation Pipeline) প্রক্রিয়ায় ছয় লক্ষ কোটি টাকা রাজকোষে ভরার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল কেন্দ্র। যা নিয়ে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। বিরোধীরা এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। সেই সকল বিষয়কে গুরুত্ব না দিয়ে জাতীয় নগদীকরণ পাইপলাইন নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল কেন্দ্র।
বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে দেশের ১৩টি বিমানবন্দরকে। বৃহস্পতিবার এমনই সিদ্ধান্তে ছাড়পত্র দিয়েছে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। আগামী বছরের মধ্যে সমগ্র কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। ছয়টি বড় বিমানবন্দরের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে সাতটি ছোট বিমানবন্দর। সমগ্র বিমানবন্দর পরিচালনা হবে পিপিপি(PPP) মডেল অনুসরণ করে।
আরও পড়ুন- চঞ্চল বক্সীর হত্যাকারীদের ১৫ দিনের মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে, হুঙ্কার অনুব্রতর
ওই ছয়টি বিমানবন্দর হচ্ছে- অমৃতসর, ভূবনেশ্বর, ইন্দোর, রায়পুর, ত্রিচি এবং বারাণসী। এগুলির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে আরও সাত বিমানবন্দর। সেগুলি হল- হুবলি, তরুপতি, ঔরঙ্গাবাদ, জব্বলপুর, কাংরা, কুশীনগর এবং গয়া। এই উপায়ে আগামী ২০২৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যে ৩৭০০ কোটি টাকা রাজকোষে ভরতে চাইছে কেন্দ্র। আগামী বছরের মধ্যে এই বিষয়ে জোরকদমে শুরু হয়ে যাবে যাবতীয় প্রশাসনিক কাজ।
অন্ধকারের পথে বিমানবন্দর!
এ দিন সমগ্র দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নতুন চারটি বিমানবন্দর চালুর কথা ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যটিরাদিত্য সিন্ধিয়া। উত্তরপ্রদেশের কুশিনগরে, উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে, ত্রিপুরার আগরতলায় এবং উত্তরপ্রদেশের জেওয়ারে। দেরাদুন এবং আগরতলা বিমানবন্দরের পাশে নয়া টার্মিনাল চালু করা হবে। যার জন্য খরচ করা হবে প্রায় ৯৫০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন- তালিবান সরকারকে সমর্থন করে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বার্তা চীনের
উত্তরপ্রদেশের একাধিক জায়গায় বিমানবন্দর নির্মাণ নিয়ে মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্যকে প্রশ্ন করা হয় সাংবাদিক সম্মেলনে। যার জবাবে তিনি জানিয়েছেন যে কেদবল উত্তরপ্রদেশ নয়, দেশের সর্বত্রই বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের। আপাতত চারটি জায়গার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বাকি শহরের নামও খুব শীঘ্রই জানানো হবে। সমগ্র প্রকল্পের জন্য প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।