পানাজি: ২০২১-এর শেষের দিকে গোয়া জয়ের লক্ষ্যে ময়দানে নেমেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। আরব সাগরের তীরে ঘাসফুল ফোটানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরকে। কিন্তু রাজ্যজয় দূর, একটি আসনও জিততে পারেনি তৃণমূল। তিন মাসের প্রস্তুতিতে ৫ শতাংশের সামান্য বেশি ভোট পায় গোয়া তৃণমূল। জোটসঙ্গী মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি আবার তৃণমূলের সঙ্গত্যাগ করে বিজেপির হাত ধরে। নেতা-কর্মী-সর্থকরাও দলে দলে অন্য পার্টির পতাকা ধরেছেন। এবার দল ছাড়লেন গোয়া তৃণমূলের সভাপতি কিরণ কান্দোলকর।
ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরকে দুষে দলত্যাগ করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, গোয়ায় তৃণমূলের কোনও ভবিষ্যত নেই। গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি ছেড়ে ২০২১ সালের নভেম্বরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন কিরণ। চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি তাঁকে রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে উত্তর গোয়ার আলদোনা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। যদিও খুব একটা সুবিধে করতে পারেননি ভোটে। তৃণমূল ছাড়লেও কোন দলে যোগ দেবেন, তা নিয়ে কিছু জানাননি কান্দোলকর।
কিরণ বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আমার কোনও ক্ষোভ নেই। কারণ তাঁরা আইপ্যাককে গোয়ায় ঘাসফুল ফোটানোর দায়িত্ব দিয়েছিল। প্রশান্ত কিশোর আইপ্যাকের প্রধান। যদি কেউ ব্যর্থ হয়, তবে তিনি হলেন প্রশান্ত। নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে আমরা ব্যর্থ হইনি। গোয়াতে আইপ্যাকের রাজনৈতিক কৌশল বলে কিছু ছিল না। প্রশান্ত গোয়ায় এসেছিলেন কংগ্রেসকে ব্ল্যাকমেল করার জন্য। কংগ্রেসের ক্ষতি করার জন্য তৃণমূলকে একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর।’
আরও পড়ুন: Goa Election results 2022: গোয়ায় তৃণমূলের জোটসঙ্গীকে নিয়ে সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি