কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদ, তাজমহল, কুতুব মিনার, ঔরঙ্গজেবের সমাধি ও ম্যাঙ্গালুরুর মসজিদের পর এবার গোয়া। মন্দির-সর্বস্ব রাজনীতির ধ্বজাধারী, হিন্দুত্ববাদী বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, পর্তুগিজদের ধ্বংস করা বা ক্ষতিগ্রস্ত মন্দিরগুলিকে পুনর্নির্মাণ করবে গোয়া সরকার। মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, পর্তুগিজরা যেসব মন্দিরের ক্ষতি করেছে, সেগুলি সংস্কার করা হবে। যে গোয়াকে এতদিন পর্যটকরা সমুদ্রসৈকত বলে চিনত, সেই গোয়ার পর্যটনকে এবার মন্দিরনগরীর আকর্ষণে গড়ে তোলা হবে বলে মন্তব্য করেন সাওয়ান্ত।
আরও পড়ুন: Gyanvapi Mosque: বারাণসীর আদালতে জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলা, কোন শুনানি আগে মঙ্গলবার বলবে কোর্ট
নয়াদিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে গোয়ার পর্যটন শিল্পের বিকাশ নিয়ে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের ধ্বংসপ্রাপ্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত মন্দিরগুলি সংস্কারে ইতিমধ্যেই ব্যয়বরাদ্দ করা হয়েছে। রাজধানীতে পাঞ্চজন্য মিডিয়া কনক্লেভে গোয়ার উন্নয়ন নিয়ে ভাষণে একথা বলেন সাওয়ান্ত। তিনি বলেন, গোয়ার সাংস্কৃতিক পর্যটনে জোর দিচ্ছে সরকার। সৈকত থেকে পর্যটকদের দেশীয় সংস্কৃতি তথা মন্দির স্থাপত্যের দিকে আকর্ষিত করে তোলার চেষ্টা চলছে। সেই লক্ষ্যেই পর্তুগিজ উপনিবেশের পর থেকে এখানকার যে যে মন্দির তারা ভেঙেছে, সেগুলির পুনর্নির্মাণ করা হবে। রাজ্যের বাজেটেও এই কাজে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, পর্তুগিজদের ৪৫০ বছরের উপনিবেশে বহু হিন্দু মন্দির ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। হিন্দু ধর্ম ও সংস্কৃতিকে তছনছ করা হয়েছে। অগণিত হিন্দুকে ধর্মান্তরিত করেছে পর্তুগিজ শাসকরা। আমরা সেসবের পুনর্গঠন করতে চাইছি। আমি মনে করি, যেখানে মন্দির ধ্বংস করার চেষ্টা হয়েছে, তা আবার গড়ে তুলতে হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, তাঁর সরকার গোয়াকে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতির পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলছে। পর্যটকরা এরপর থেকে আর শুধু আরব সাগরের টানেই গোয়ায় আসবেন না। মন্দির, স্থাপত্য, হিন্দু সংস্কৃতির টানেও আসবেন।
সাওয়ান্ত বলেন, গোয়ার প্রায় প্রত্যেক গ্রামে অন্তত ২টি করে মন্দির রয়েছে। আমরা পর্যটকদের সৈকত থেকে উঠিয়ে সেই মন্দিরে নিয়ে যেতে চাই।