ওয়েব ডেস্ক: প্রমীলার বীরত্বের কথা জানে ভারত। ঝাঁসির রানী লক্ষ্মী বাইয়ের উদাহরণ রয়েছে। এমনকী বৃদ্ধা মাতঙ্গিনি হাজরাও ইংরেজদের গুলির সামনে বুক পেতে দিয়েছিলেন। দেশের বীর সেনানি বিএসএফের (BSF) সাত মহিলা জওয়ানের বীরত্বের ঘটনা তাতে সংযোজন হল। সেসময় পাকিস্তান (Pakistan) যেন পাগলা কুকুর। অপারেশন সিন্দুরে (Operation Sindoor) তাদের ভিত নড়ে গিয়েছে। আতঙ্কে উন্মত্ত হয়ে সীমান্তে নির্বিচারে গুলি বর্ষণ শুরু করেছে। ওই মহিলা জওয়ানরা দেশকে রক্ষা করতে সামনে দাঁড়িয়ে পাল্টা গুলি চালিয়ে যান। জম্মু ও কাশ্মীরের আখনুর সেক্টরে দুটি ফরওয়ার্ড পোস্টে পাকিস্তানের লাগাতার গোলা বর্ষণ রুখে দেন তাঁরা। অপারেশন সিন্দুরের সময় ঘটনার শুরু। লাগাতার তিন দিন। তিন রাত তাঁরা আখনুর সেক্টরে অতন্দ্র প্রহরী। চোখের পাতা এক না করে পাহারার সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ড্যান্ট নেহা ভাণ্ডারির (Neha Bhandari) নেতৃত্বে ওই সীমান্ত যুদ্ধ চলে।
পুরুষ বিএসএফ জওয়ানরা ওই বিপজ্জ্নক পরিস্থিতিতে তাঁদেরকে সরে যেতে বলেছিলেন। তাঁরা সরে যাননি। বরং সম্মুখসমরে ওই প্রমীলা বাহিনী পাকিস্তান ফোর্সকে প্রাণ হাতে করে এলাকা ছেড়ে পালাতে বাধ্য করেন। এবং এটাই ছিল তাঁদের প্রথম সক্রিয়ভাবে সরাসরি মোকাবিলা বা কমব্যাট অভিজ্ঞতা। বেশিরভাগই এই বাহিনীতেও নতুন। ২-৩ বছর যোগ দিয়েছেন। নেহা ভাণ্ডারি দেশে প্রথম মহিলা বিএসএফ অফিসার যাঁর নেতৃত্বে ওই মহিলা জওয়ানরা এই কমব্যাটে বা মুখোমুখি যুদ্ধে অংশ নিলেন। অপারেশন সিন্দুরে কর্নেল সোফিয়া কুরেশির মতোই ওই বিএসএফের মহিলা জওয়ানরাও ভারতের গর্ব। ওই সাতজনের মধ্যে বাংলার দুই মেয়ে স্বপ্না রথ ও শম্পা বসাকও রয়েছেন। উল্লেখ্য, এদিনই মেলিটারির ট্রেনিংয়ের প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমির প্রথম মহিলা ক্যাডেট ব্যাচ গ্র্যাজুয়েট হল। এই উপলক্ষে পুনেতে এনডিএর ক্যাম্পাসে প্যারেডের আয়োজন করা হয়েছিল। ১৭ জন মহিলা অফিসার সেখান থেকে বের হয়েছেন। যা ইতিহাসে প্রথম। এটাই প্রথম এনডিএর কোএড বা ছাত্র ছাত্রীর ব্যাচ।
আরও পড়ুন: যোধা-আকবরের বিয়ে আদতে একটি ‘রূপকথা’! বিস্ফোরক দাবি রাজ্যপালের
বিএসএফ আধিকারিক নেহা ভাণ্ডারির দাদু সেনা অফিসার ছিলেন। তাঁর বাবা ও মা দুজনের সিআরপি অফিসার ছিলেন। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে এক ইন্টারভিউতে নেহা ভাণ্ডারি জানিয়েছেন, এটা ছিল আখনুর পারগওয়াল এলাকায় পাকিস্তানের পোস্ট থেকে ১৫০ মিটার দূরে। আন্তর্জাতিক সীমান্তে আমার বাহিনীর সঙ্গে পোস্টে কর্তব্য করতে পেরে আমি গর্ব অনুভব করছি। শত্রুপক্ষের পোস্টে সব প্রয়োজনীয় অস্ত্র নিয়ে উপযুক্ত জবাব দিতে পেরে মর্যাদা অনুভব করছি। আমার এলাকায় তিনটি পোস্ট ছিল। ওদেরকে এলাকা ছেড়ে পালাতে বাধ্য করি। তিনি আরও বলেন, আমার সঙ্গে ১৮-১৯ জনের বিএসএফের মহিলা জওয়ানদের টিম ছিল। তার মধ্যে ৬ জন সরাসরি মোকাবিলা করেন।
দেখুন অন্য খবর: