ওয়েবডেস্ক: পহেলগামে (Pahalgam) যে ঘটনা ঘটেছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এমনটাই বলা হচ্ছে যে, এই ঘটনা নেপথ্যে পাকিস্তানের (Pakistan) হাত আছে। সেটাই যদি সেটাই সঠিক হয়, ভারতকে (India) উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। আমাদের দেশের একটা আত্মসম্মান আছে। দেশের আত্মসম্মান রক্ষায় সরকারের (Modi Government) সব দিকে দিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। সেনাকে পূর্ণ ক্ষমতা (Army Free To Hand) দেওয়া সত্যিই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়।
আবার এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে, ভারতের অন্য দেশের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছবে। কারণ ভারত এত বড় দেশ। সবার নজর ভারতের উপর রয়েছে। বার বার ভারতের উপর হামলা হবে, আর দেশ যদি চুপচাপ সব সহ্য করে নেয়, সেটি সঠিক না। দেশের সুরক্ষা, নাগরিকের সুরক্ষা জন্য যেটা করা উচিত, তার জন্য তড়িঘড়ি সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
আরও পড়ুন: আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে আক্রমণ করবে ভারত ! ভয় মুখ শুকিয়ে কি বললেন পাক মন্ত্রী
উল্লেখ্য, পহেলগামে ২২ এপ্রিলের পর থেকেই অস্থির বাতাবরণের মধ্যে রয়েছে। যেকোনও মুহূর্তেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারে ভারত সরকার। অতি তৎপরতা ও বিবেচনার সঙ্গে সমস্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত। ইতিমধ্যেই তিন সেনার হাতে পূর্ণ ক্ষমতা তুলে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে বার বার ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের নিয়ে বার বার বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ বুধবারও ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি-র (Cabinet Committee on Security) বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। পহেলগাম হামলার পরে দ্বিতীয় বৈঠক এই কমিটির। কয়েকদিনের মধ্যে দু-বার এই কমিটির বৈঠক বিরল ঘটনা। অন্যদিকে ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়ে জবুথবু পাকিস্তান।
১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকে কাশ্মীরের মালিকানা নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত চলে আসছে। এই নিয়ে তিনটে যুদ্ধে জড়িয়েছে তারা। এবারে পহেলগাম ঘটনা পর থেকেই উত্তপ্ত বাতাবরণ তৈরি হয়েছে ভারতে। উচিত জবাব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কাশ্মীরে ওই হামলার পর বৃহস্পতিবার থেকে আজ পর্যন্ত টানা পাঁচ রাতে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে ভারতীয় বাহিনী জানিয়েছে। তবে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি পাকিস্তান।
দেখুন ভিডিও-