নয়াদিল্লি: ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশ’। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে এই অঙ্গীকার করেছিল মোদি সরকার। কিন্তু বিজেপি সরকারের জমানায় আদৌ কী দেশের বিকাশ হচ্ছে, অর্থনৈতিকভাবে কি সত্যিই এগোচ্ছে দেশ? সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট। আর তাতেই দেশের কঙ্কালসার রূপ প্রকাশ্যে এসে পড়েছে।
আরও পড়ুন: কেরলে পুরসভা-পঞ্চায়েত উপনির্বাচনে ভরাডুবি বিজেপির
২০১৩ সালে ইউপিএ আমলে বেকারত্বের হার ছিল ৫.৬৭ শতাংশ। ২০১৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫.৬০ শতাংশ। ওই বছরই ক্ষমতায় আসে এনডিএ জোট। ২০২০ সালে বেকারত্বের হার বেড়ে দাঁড়ায় ৭.১১ শতাংশ। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে ২০২০ পর্যন্ত টানা ৬ বছর বেকারত্বের হার ৫ শতাংশের ওপরে ছিল। ২০২১ সালের শেষে তা যে আরও বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য।
মোদি জমানায় জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির গ্রাফ দেখলে যে কারোর চোখ কপালে উঠতে বাধ্য! আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলেও দেশে একনাগাড়ে বেড়েই চলেছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। প্রতি মাসের শেষ রবিবার দেশবাসীর উদ্দেশে মোদির ‘মন কি বাত’ সম্প্রচারিত হয়েছে নিয়ম করে। কিন্তু আদৌ কী ভারতবাসীর মনের কথা শোনেন প্রধানমন্ত্রী? নোট বাতিল, জিএসটি সহ নানা বিষয় পর্যালোচনা করলেই তা সহজে বোঝা যাবে।
আরও পড়ুন: দেশভাগের স্মরণে ‘বিভাজন বিভিষীকা স্মৃতি দিবস’ পালন করবে মোদি সরকার
কেবলমাত্র ২০২০-২০২১ অর্থবর্ষে পেট্রোলের দাম বেড়েছে ৭৬ বার, ডিজেলের দাম বেড়েছে ৭৩ বার। এবার নজর রাখতে হয় মুদ্রাস্ফীতির দিকে। ২০১৩ সালে ইউপিএ আমলে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ১১.০৬ শতাংশ। ২০১৪-র লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের মুখ থুবড়ে পড়ার অন্যতম কারণ ছিল এটি। সে বার বিপুল ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। তারপর ৭ বছর বিজেপি সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকলেও মুদ্রাস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৫.৬।