নয়াদিল্লি: প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে গঠিত কমিটির রিপোর্ট পেশ, কী আছে ১৮ হাজার পাতার রিপোর্টে
যে কোনও দিন লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে যেতে পারে। তার আগেই এক দেশ, এক ভোট (One Nation One Vote) সংক্রান্ত কমিটি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে (President Droupadi Murmu) রিপোর্ট দিল বৃহস্পতিবার। আট খণ্ডে ১৮ হাজার পাতার রিপোর্ট এদিন রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (Former President Ram Nath Kovind)। কেন্দ্রীয় সরকার কোবিন্দের নেতৃত্বে এক দেশ, এক ভোটের প্রস্তাব বিবেচনার জন্য কমিটি করে দেয়। এদিন তাঁর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ভবনে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনিও কোবিন্দ কমিটির সদস্য।
কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম-সহ প্রায় সব বিরোধী দলই কেন্দ্রের এই এক দেশ, এক ভোট নীতির বিরোধিতা করেছে। কোবিন্দ কমিটি এ ব্যাপারে রাজ্যে রাজ্যে সাধারণ মানুষেরও মতামত নেয়। নেওয়া হয় রাজনৈতিক দলগুলির লিখিত মতামত। তার ভিত্তিতেই কমিটি রিপোর্ট তৈরি করেছে। বিরোধীদের মতে, কেন্দ্রের এই প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী এবং সংবিধান বিরোধী। তাদের অভিযোগ, বিজেপি সরকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ধাঁচে ব্যবস্থা কায়েম করতে চাইছে।
আরও পড়ুন: সিএএ নিয়ে বিরোধীরা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, অভিযোগ শাহের
বিরোধী নেতাদের আরও অভিযোগ, এক দেশ, এক ভোট নীতি কার্যকর হলে লোকসভার সঙ্গেই বিধানসভা ভোটও করিয়ে নেবে সরকার। এতে আখেরে লাভ হবে শাসকদলের। তাঁদের আশঙ্কা, পরবর্তীকালে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আওতায় থাকা পঞ্চায়েত এবং পুরসভা নির্বাচনগুলিও এক সঙ্গে করে ফেলার ছক রয়েছে কেন্দ্রের। সেই ক্ষেত্রে রাজ্য নির্বাচন কমিশনগুলির আর প্রয়োজন হবে না। বিরোধী দলগুলি প্রশ্ন তুলেছে, পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে যদি কেন্দ্র বা কোনও রাজ্যের সরকার পড়ে যায়, তখন কী হবে। সেই সব প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা।
২০১৪ সালে প্রথমবার দেশের ক্ষমতায় আসার পরই নরেন্দ্র মোদির সরকার এক দেশ, এক ভোট নীতির কথা বলে। কেন্দ্রের যুক্তি, এর ফলে খরচ অনেক কমবে। লোকসভা এবং বিধানসভার ভোট এক সঙ্গে হলে খরচ কমানো যাবে। আলাদা করে ভোট হয় বলে লাগামহীন খরচ হয়।
অন্য খবর দেখুন