ওয়েব ডেস্ক: আবারও এক ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার (Plane Crash) সাক্ষী থাকল ভারত। বৃহস্পতিবার দুপুরে আহমেদাবাদ (Ahmedabad Plane Crash) বিমানবন্দর থেকে টেক অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ল এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India Plane Crash) ড্রিমলাইনার। লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেওয়া বোয়িং বিমানটি আহমেদাবাদের মেঘানি এলাকার কাছে ভেঙে পড়ে। বিমানে মোট ২৪২ জন ছিলেন। এখনও হতাহতের সংখ্যা সামনে না এলেও প্রত্যেকের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিক ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে এয়ার ইন্ডিয়ার বিভিন্ন বিমানে। সাম্প্রতিক ইতিহাস থেকে তেমনই কয়েকটি ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার বিষয়ে জেনে নিন, যেগুলিতে মৃত্যুমিছিল দেখেছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বিভিন্ন বিমান।
আরও পড়ুন: আমেদাবদে ভেঙে পড়ল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান, বহু হতাহতের আশঙ্কা
২০১০ সালের ২২ মে, দুবাই থেকে আসা এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস ফ্লাইট ৮১২ রানওয়ে ছাড়িয়ে গিয়ে ধাক্কা খায় ম্যাঙ্গালোর বিমানবন্দরের কাছে। তৎক্ষণাৎ বিমানে আগুন ধরে যায়। এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৫৮ জন যাত্রীর।
২৩ জুন, ১৯৮৫ সালে টরন্টো থেকে দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট ১৮২, যা কনিষ্ক নামেও পরিচিত ছিল, সেটি মাঝ আকাশেই বিস্ফোরণে উড়ে যায়। খালিস্তানি জঙ্গিরা গোপনে এই বিমানে বোমা রেখে দেয়। আটলান্টিক মহাসাগরের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় বিস্ফোরণ ঘটে, এবং বিমানে থাকা ৩২৯ জন মারা যান। এটি কানাডার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় গণহত্যা হিসেবে বিবেচিত।
১৯৭৮ সালের ১ জানুয়ারি, মুম্বইয়ের সান্তাক্রুজ বিমানবন্দর থেকে টেক অফের মাত্র দু’মিনিট পরেই আরব সাগরে ভেঙে পড়ে একটি দুবাইগামী বিমান। এই ঘটনায় বিমানে থাকা ২১৩ জন যাত্রীই মারা যান।
১৯৬৬ সালের জানুয়ারিতে এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট ১০১, বোয়িং ৭০৭ (কাঞ্চনজঙ্ঘা) সুইজারল্যান্ডের মন্ট ব্ল্যাঙ্ক পর্বতে ধাক্কা মারে। নিহত হন বিমানের ১১৭ জন যাত্রী ও কর্মী। ওই বিমানে ছিলেন ভারতের পারমাণবিক গবেষণার জনক হোমি জেহাঙ্গির ভাবাও।
১৯৫০ সালের নভেম্বরে মন্ট ব্ল্যাঙ্ক ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস ফ্লাইট ২৪৫। এতে প্রাণ হারান বিমানে থাকা ৪৮ জন।
দেখুন আরও খবর: