ওয়েব ডেস্ক: প্রায় ১৬ বছর পর জনগণনা (Census) হতে চলেছে দেশে। ২০১১ সালের পর ২০২১ সালে আদমশুমারি হওয়ার কথা থাকলেও করোনা অতিমারির কারণে তা পিছিয়ে যায়। তারপর থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক জটিলতার মধ্যে দিয়ে ২০২৩ সালেও দেশের জনগণনা করতে পারেনি মোদি সরকার (Modi Government)। অর্থাৎ, নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) জমানায় এই প্রথমবার পূর্ণাঙ্গ আদমশুমারি হতে চলেছে দেশজুড়ে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, যেসব রাজ্যে শীতকালে তুষারপাত হয় না, সেই রাজ্যগুলিতে ২০২৭ সালের ১ মার্চ থেকে শুরু হবে এই গণনার কাজ। অন্যদিকে, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের মতো রাজ্য, যেখানে শীতে তুষারপাত হয়, সেখানে জনগণনার কাজ শুরু হবে আরও আগে। এই পাঁচ রাজ্যে আদমশুমারির কাজ শুরু হবে ২০২৬ সালের অক্টোবরে। অর্থাৎ আর মাত্র ১৬ মাস পরই শুরু হবে এই দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রক্রিয়া।
আরও পড়ুন: অপারেশন সিঁদুরের পর ‘অপারেশন শিব’
এবারের আদমশুমারিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হল জাতিগত জনগণনা। কেন্দ্র ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে, তিনটি মূল বিষয়কে ঘিরে হবে এই গণনা- বাড়ির সংখ্যা, বাসিন্দার সংখ্যা ও ঘনত্ব এবং জাতিগত শ্রেণিবিন্যাস। দীর্ঘদিন ধরে কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি জাতিগত জনগণনার দাবি জানিয়ে আসছিল। এবার সেই দাবি মেনে কেন্দ্র অতিরিক্ত তথ্য সংগ্রহ করবে। তবে এতে গণনার পরিধি যেমন বাড়বে, তেমনি খরচও বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। আগের তুলনায় অনেক বেশি প্রশ্ন রাখা হচ্ছে এবারের সমীক্ষায়।
উল্লেখ্য, ১৮৭২ সালে প্রথম শুরু হওয়া এই জনগণনা রীতি অনুযায়ী প্রতি দশ বছর অন্তর হয় আদমশুমারি। তবে এবারের গ্যাপ হয়েছে ১৬ বছরের। এমন দীর্ঘ বিরতির ফলে দেশজুড়ে তৈরি হয়েছে এক প্রশাসনিক শূন্যতা। সেই ঘাটতি মেটাতে এবং পরবর্তী নীতিনির্ধারণকে তথ্যভিত্তিক ও বাস্তবসম্মত করতে এই নতুন জনগণনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেখুন আরও খবর: