লখনউ: একে করোনায় রক্ষা নেই৷ দোসর ডেঙ্গু (Dengue)৷
ফি বর্ষায় হাজির হয় ডেঙ্গু৷ কিন্তু উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) ফিরোজাবাদে সে মহামারির (Pandemic) পর্যায়ে এগোচ্ছে৷ গত কয়েকদিনে এই জেলায় ৪০ জনের বেশি লোকের মৃত্যু হয়েছে৷ পরিসংখ্যান বলছে, মৃতদের মধ্যে অধিকাংশ শিশু৷ একসঙ্গে এত শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় প্রবলভাবে সমালোচিত হচ্ছে রাজ্য সরকার৷ চাপের মুখে ফিরোজাবাদের চিফ মেডিক্যাল অফিসারকে সরিয়ে দিল জেলা প্রশাসন৷ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস বন্ধের নির্দেশ স্কুলগুলিকে দেওয়া হয়েছে৷
আরও পড়ুন: পচা মাংস খেয়ে অসুস্থ হয়েছেন এমন নজির নেই, ভাগাড়কাণ্ডে অভিযুক্তকে ছাড়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
ফিরোজাবাদের সিএমও নীতা কুলশ্রেষ্ঠাকে সরিয়ে আলিগড়ে পাঠানো হয়েছে৷ অন্যদিকে হাপুরের সিএমও ডঃ দীনেশ প্রেমীকে এই জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ জানা যাচ্ছে, গত ১০-১২ দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অন্তত ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ যার মধ্যে ৪০ জনই শিশু৷ অনুমান ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সকলের মৃত্যু হয়েছে৷ ফিরোজাবাদের বিজেপি বিধায়ক মণীশ আসিজা মঙ্গলবার দাবি করেন, সোমবার রাতে তিনজন মারা যান৷ মঙ্গলবারও দু’জনের মৃত্যু হয়৷ সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪৷ এত লোকের মৃত্যু জন্য তিনি জেলার স্বাস্থ্য দফতর এবং পুরসভা-পঞ্চায়েতকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করান৷
আরও পড়ুন: এশিয়ার বৃহত্তম ডিটেনশন ক্যাম্প হচ্ছে অসমের গুয়াহাটিতে
জেলায় ডেঙ্গু এখন কার্যত মহামারির চেহারা নিয়েছে৷ ঘরে ঘরে জ্বর৷ অনেকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ছুটছেন৷ ফলে হাসপাতালে রোগী ভর্তির চাপ বাড়ছে৷ এমন পরিস্থিতিতে সোমবার জেলার একটি হাসপাতালে পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ৷ ওই দিন তিনি জানিয়েছিলেন, লখনউয়ের কিং জর্জ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির একটি দল শিশু মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত করবে৷ তার পরই লখনউ থেকে ফিরোদাবাদ যায় ১৫ সদস্যের একটি চিকিৎসক দল৷ তাঁরা হাসপাতালে যান৷ ঘুরে দেখেন ডেঙ্গু আক্রান্ত এলাকাগুলি৷ কথা বলেন জেলা প্রশাসক এবং জেলার স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের সঙ্গে৷