নয়াদিল্লি: সোমবার কর্মসংস্থানের দাবিতে দিল্লির যন্তরমন্তরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ভারতীয় কিষাণ মোর্চার ডাকে। এ কারণেই সিঙ্ঘু ও গাজীপুর সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়াল দিল্লি পুলিশ। গোটা রাস্তায় বসানো হয়েছে পুলিশি ব্যারিকেড। পুলিশি টহলদারি চলছে দিল্লির উত্তর-পশ্চিমের সিঙ্ঘু সীমান্তে। পাশাপাশি দিল্লি মীরাট এক্সপ্রেসওয়ের গাজীপুর সীমান্তেও।
এদিন যন্তর-মন্তরে কৃষকেরা দেশের বেকারত্বের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিলের পাশাপাশি বিক্ষোভ দেখাবেন। এদিন সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত এই আন্দোলন শান্তি ও শৃঙ্খলার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত হবে। আন্দোলনের পরে রাষ্ট্রপতির কাছে সংযুক্ত মোর্চার তরফে একটি স্মারকলিপিও দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গাজিপুর, টিকরি বর্ডারে বাড়তি নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে। রবিবার মিছিল ঢোকার মুখেই রাকেশ টিকায়েতের পথ আটকায় পুলিশ। যন্তরমন্তরে যাওয়ার পথে গাজিপুর থেকে কৃষক নেতাকে আটক করা হয়। প্রথমে তাঁকে মিছিল প্রত্যাহার করে নেওয়ার অনুরোধ করে দিল্লি পুলিশ। কিন্তু, তাতে রাজি না হওয়ায় টিকায়েতকে গাজিপুর থেকে আটক করে মধু বিহার থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। রাকেশ টিকায়েতের অভিযোগ, দিল্লি পুলিশ কেন্দ্রের অঙ্গুলিহেলনে কাজ করছে। তাঁর কথায়, “এভাবে কৃষকদের আওয়াজ দমন করে রাখা যাবে না। এই গ্রেফতারি নতুন বিপ্লবের সূচনা করবে। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব। কিছুতেই থামব না। ক্লান্ত হব না। মাথা নত করব না।”
আরও পড়ুন: Siliguri: শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার বালাসন ব্রিজ খুলে দেওয়া হল
প্রসঙ্গত, কর্মসংস্থানের দাবির পাশাপাশি এমএসপি বৃদ্ধি নিয়ে ক্ষোভ জমা হচ্ছিল। এমএসপি বাড়ানোর ফলে মূল্যবৃদ্ধির হার বাড়বে বলে আশঙ্কা রয়েছে। সম্প্রতি নীতি আয়োগের সদস্য রমেশ চাঁদ বলেছিলেন, এমএসপি এক সঙ্গে অনেকখানি বাড়ালে, তার ধাক্কা মূল্যবৃদ্ধিতে লাগতে পারে। এপ্রিলে পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হার ১৫.০৮% ছিল। যা গত ১৭ বছরে সর্বোচ্চ। এপ্রিল ও মে— দুই মাসেই খাদ্যপণ্যে মূল্যবৃদ্ধির হার খুচরো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হারের থেকে বেশি ছিল। মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানতে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক ফের এক দফা সুদের হার বাড়িয়ে পূর্বাভাস দিয়েছে, খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার ৬.৭ শতাংশে পৌঁছবে। সাধারণত এমএসপি এক মরসুম থেকে আর এক মরসুমে ১ থেকে ৫ শতাংশ হারে বাড়ে। এ বার ধান থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রেই এমএসপি বেড়েছে প্রায় ৫ থেকে ৯ শতাংশের মতো। এর ধাক্কায় মূল্যবৃদ্ধি বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।