শিলং: মেঘালয়ে কংগ্রেসকে কার্যত নিশ্চিহ্ন করে দিল তৃণমূল৷ বুধবার ১১ জন অনুগামীকে সঙ্গে নিয়ে সোনিয়া গান্ধীর দল ছাড়লেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা৷ সূত্রের খবর, অনুগামীদের নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তিনি৷ যদিও মুকুল সাংমার ঘাসফুল শিবিরে যোগদানের খবর এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হয়নি৷ যতদূর জানা গিয়েছে, আগামিকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১টায় সেই ঘোষণা হবে৷
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সহ-১২ জন কংগ্রেসির এই যোগদান উত্তর-পূর্বের ওই ছোট রাজ্যে তৃণমূলকে এক ধাক্কায় বিরোধী দলের মর্যাদা এনে দিল৷ জাতীয় স্তরের দিক থেকেও এই যোগদান নিঃসন্দেহে তৃণমূলকে মাইলেজ দেবে৷ বাংলার বাইরে এই প্রথম কোনও রাজ্যে বিরোধী দলের মর্যাদা পেল মমতার দল৷ তৃণমূল নেত্রীর লক্ষ্য একটাই, পশ্চিমবঙ্গের বাইরে অন্যান্য রাজ্যে দলের সংগঠন বাড়ানো৷ সেই লক্ষ্যে ত্রিপুরা, গোয়া, হরিয়ানার মত ছোট বিধানসভা বিশিষ্ট আসনের রাজ্যগুলিকে পাখির চোখ করেছেন তিনি৷
আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে অখিলেশের সঙ্গে সমঝোতার ইঙ্গিত মমতার
লুজিনহো ফেলেইরোর পর মুকুল সাংমা দ্বিতীয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী যিনি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে এলেন৷ অনেকদিন ধরেই নানা ইস্যুতে ‘গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির’ সঙ্গে সাংমার মতবিরোধ চলছিল৷ সূত্রের খবর, দলের শীর্ষনেতৃত্বের কাজকর্মে তিনি খুশি ছিলেন না৷ তাঁকে দলে কোণঠাসা করার চেষ্টাও করা হচ্ছিল৷ বিরক্ত মুকুল সাংমা দলবদলের চিন্তা করছিলেন৷ তাই গত মাসে তিনি কলকাতায় এসে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে গিয়েছিলেন৷
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছিল, দলত্যাগ করার পর বিধানসভায় তাঁর অবস্থান কী হতে পারে সেটা বুঝতেই তিনি কলকাতায় এসেছিলেন সাংমা৷ এতদিন তিনি ছিলেন মেঘালয়ের বিরোধী দলনেতা৷ তৃণমূলে যোগদানের পর সেই ভূমিকাতেই দেখা যাবে তাঁকে৷ এর আগে ২০১০ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সাংমা৷ ২০১৮-র বিধানসভা ভোটে জিততে না পারলেও একক বৃহত্তম দল হয় কংগ্রেস৷ ১৮ জন বিধায়ক পায় সোনিয়া গান্ধীর দল৷ তাদের মধ্যে আজ ১২ জনই চলে গেল তৃণমূলে৷ ফলে বিরোধী দলের তকমা হারাল কংগ্রেস৷