লখনউ: দুই দশক পরে ফের আফগানিস্তানের দখল নিয়েছে তালিবান। যার জেরে প্রবল প্রতিকূলতার সৃষ্টি হয়েছে কাবুলিওয়ালার দেশে। যা নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন ওই দেশের সংখ্যালঘু সাংসদ নরেন্দ্র সিং খালসা।
ভারতীয় বায়ু সেনার বিশেষ বিমানে আফগানিস্তান থেকে ১৬৮ জনকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। যাদের মধ্যে ভারতীয় নাগরিক ছাড়াও ছিলেন বেশ কয়েকজন আফগান। তাঁদের মধ্যে ওই সাংসদ নরেন্দ্র সিং খালসাও ছিলেন। বায়ু সেনার বিশেষ বিমানে করে তাঁদের নিয়ে আসা হয়েছে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ জেলায় অবস্থিত হিন্দন জেলার সেনা ঘাঁটিতে।
সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন ওই দেশের আইনসভার সদস্য নরেন্দ্র। তিনি বলছেন, “কিচ্ছু ভালো লাগছে না। আমার কান্না পাচ্ছে।” স্বর নরম হয়ে আসে সাংসদ নরেন্দ্র সিং খালসার। চোখের কোনে জল নিয়ে তিনি আরও বলেছেন, “২০ বছর ধরে তিলে তিলে যা তৈরি করা হয়েছিল সব শেষ হয়ে গেল। এখন আর কিছুই থাকল না।”
আরও পড়ুন- অচলাবস্থা কাটাতে তালিবানকে মেনে নিন, আবেদন আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘনির ভাইয়ের
তালিবান আফগানিস্তানের দখল নিতেই ভারত সরকার ঘোষণা করেছিল কাবুলিওয়ালার দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়াবে দিল্লি। গাজিয়াবাদে তেমন একাধিক অমুসলিম ব্যক্তি ফিরেছেন ভারতীয় বায়ু সেনার বিমানে। তেমনই এক শিখ ব্যক্তি বলেছেন, “আফগানিস্তানের অবস্থা নরকের থেকেও খারাপ। কোনও রকমে একটা গুরুদ্বারে প্রাণ হাতে নিয়ে লুকিয়ে ছিলাম। পরে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানে উঠলাম। নিজে এগিয়ে আমাদের সাহায্য করার জন্য ভারতকে ধন্যবাদ।”
গাজিয়াবাদের এক শিবিরে মেয়ে এবং দুই নাতনিকে নিয়ে রয়েছেন আফগান নাগরিক সাদিয়া। তাঁর নিজের বাড়িতে চার-পাঁচ ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালিয়েছে তালিবান। ভারতে ফিরে যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন তিনি। সাদিয়ার কথায়, “আফগানিস্তানের পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। তালিবান আমাদের ঘর-বাড়ি ভেঙে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। ভারতীয় ভাইবোনেরা আমাদের উদ্ধার করেছে। আফগানিস্তান মেয়েদের জন্য নিরাপদ নয়। আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ভারতকে ধন্যবাদ।”