নয়াদিল্লি: জোর দেওয়া হবে মাতৃভাষায় শিক্ষার ওপর। নতুন শিক্ষানীতি বা নেপ (দ্য নিউ ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি) অনুযায়ী প্রাথমিক স্তরে সমস্ত শিশুকে শিক্ষালাভ করতে হবে মাতৃভাষায়, যা একবিংশ শতাব্দীর ভারতকে নতুন দিশা দেখাবে, লালকেল্লা থেকে জানালেন নরেন্দ্র মোদি।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতার সকালে নেতাজিকেই সম্মান জানাল না প্রশাসন
গত বছর ঘোষণা হয়েছিল নয়া শিক্ষানীতির। রবিবার ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে জনগণের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন মোদি। তিনি জানান, ২০২২ সালের মধ্যে নয়া শিক্ষানীতি কার্যকর করা হবে সারা দেশে। এই নীতি কার্যকর হলে দেশের দরিদ্র মানুষদের সুবিধা হবে। ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত নিজের মাতৃভাষায় শিক্ষালাভ করতে হবে এই নীতির মধ্য দিয়ে। ফলে গরিব শিশুদের পড়ার ক্ষেত্রে ভাষা আর বাধা হবে না।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতার ৭৫ বছরে ভিক্টোরিয়ার শীর্ষে উড়ল ৭৫০০ বর্গফুটের জাতীয় পতাকা
এই নতুন শিক্ষানীতির ফলে সার্বিক বিকাশ হবে। এর মাধ্যমে শুধু পুঁথিগত বিদ্যা নয়, শিক্ষার ব্যবহারিক প্রয়োগও হবে। শিক্ষার দৃশ্যপট পরিবর্তন, শিক্ষাকে সামগ্রিক এবং ‘আত্মনির্ভর ভারত’ -এর শক্তিশালী ভিত্তি গড়ে তোলার পথপ্রদর্শক হবে এই নতুন নীতি বলে এদিন দাবি করলেন মোদি। ১৯৮৬ সালে যে শিক্ষানীতি চালু করেছিল কেন্দ্র তা পালটে এই নীতি আনছে মোদি সরকার। প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, এই নীতি প্রণয়নের ফলে একজন দরিদ্র মানুষের সন্তান নিজের মাতৃভাষাকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করবে, ফলে লেখাপড়া করে পেশাদার হতে পারবে, এতে তাদের মেধার প্রতি সুবিচার হবে।
আরও পড়ুন: ‘দেশটা সবার নিজের’, গান লিখে সম্প্রীতির বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
এদিন শুধু নতুন শিক্ষানীতিতে মাতৃভাষার অন্তর্ভুক্তি নিয়েই নয়, খেলাকেও পঠনপাঠনের অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেছেন মোদি। তিনি জানিয়েছেন, ‘খেলার ময়দানে ভাষা কখনই প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায়নি। তাতে যুবসমাজ সফল হয়েছে। নতুন শিক্ষানীতিতে খেলাকে অতিরিক্ত বিষয় করে না রেখে তাই পঠনপাঠনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। একটা সময় খেলাধুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হত না। আজ দেশে ফিটনেস এবং খেলা নিয়ে সচেতনতা তৈরি হয়েছে। এ বার অলিম্পিকেও আমরা তা অনুভবও করেছি’, স্বীকারোক্তি প্রধানমন্ত্রীর। পাশাপাশি এদিনের ভাষণে তিনি জানিয়েছেন, সমস্ত সৈনিকদের স্কুলে এবার থেকে মেয়েরাও পড়ার সুযোগ পাবেন।