নয়াদিল্লি: লোকসভা ভোটের (Loksabha Vote) আগে বড় রায়। নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bond) প্রকল্প অসাংবিধানিক। ঘোষণা সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের।
আদালতের অভিমত ও নির্দেশ:
দলগুলি প্রকল্প থেকে যে টাকা পেয়েছে তার পুঙ্খানুপুঙ্খল তথ্য সংগ্রহ করবে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। এসবিআই সেই তথ্য দেবে নির্বাচন কমিশনকে। কমিশন তার ওয়েবসাইটে সেই তথ্য ৩১ মার্চের মধ্যে প্রকাশ করবে।
২. ইলেক্টোরাল বন্ড সংবিধানের আর্টিকেল ১৯ এর ( ১)( এ) ধারার পরিপন্থী।
৩. প্রকল্পের স্বার্থে কোম্পানিজ অ্যাক্টে সংশোধন অসাংবিধানিক।
৪. ওই আইনে সংশোধনের আগে ক্ষতিতে চলা কোম্পানি রাজনৈতিক দলকে দান করতে পারত না। কিন্তু প্রকল্পে ক্ষতিতে বা লাভে চলা কোম্পানির মধ্যে কোনও তফাৎ রাখা হয়নি। যা বেঠিক।
৫. ব্যক্তিগত দানের তুলনায় কোনও কোম্পানির দানের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ কোম্পানি ব্যবসার জন্যই বিনিয়োগ করে। কিন্তু সংশোধিত আইনে কোম্পানি ও ব্যক্তিকে দাঁড়িপাল্লার একই দিকে রাখা হয়েছে।
৬. নাগরিকের তথ্য জানার অধিকার এই প্রকল্পে ভঙ্গ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমোরটুলি থেকে কফি হাউস, পার্বণ থেকে প্রেম
গত বছরের নভেম্বরে মামলার শুনানি শেষ। রায়দান স্থগিত ছিল। ২০১৭ সালে ফিন্যান্স আইনে সংশোধনী এনে ইলেকশনাল বন্ড প্রকল্প শুরু হয়। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস এবং সিপিএম এই প্রকল্পের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে। অর্থদাতার পরিচয় গোপন থাকায় এই প্রকল্পে স্বচ্ছতা থাকছে না। প্রকল্পের আইন অনুযায়ী ভোটার এই প্রসঙ্গে কোনও তথ্য পাবেন না। ভুয়ো কোম্পানি মারফত অর্থদানের সুযোগ রয়েছে। অভিযোগ ছিল মামলাকারীর।
আরও খবর দেখুন